কলকাতা, 22 মার্চ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় 2022 সাল থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে নো অবজেকশন সার্টিকফিকেট বা এনওসি দাবি করে আসছে সিবিআই ৷ কিন্তু, তা নিয়ে নবান্নের সচিবালয়ের তরফে কোনও উচ্চবাচ্য করা হচ্ছে না ৷ যা নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জানাল সিবিআই ৷ আর তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবের নামে একটি নোটিশ জারি করলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ৷ সেখানে সিবিআইয়ের আবেদনে কতদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব ? তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট চাইল আদালত ৷
উল্লেখ্য, সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে মুখ্যসচিবের এনওসি প্রয়োজন হয় ৷ যেমনটা বিধায়কদের ক্ষেত্রে বিধানসভা ও সাংসদদের ক্ষেত্রে লোকসভার অধ্যক্ষের এনওসি প্রয়োজন হয় ৷ তেমনি রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি মামলায় ধৃত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে রিপোর্ট নিম্ন আদালতে জমা দিয়েছে সিবিআই ৷ কিন্তু, 2022 সাল থেকে মুখ্যসচিবের এনওসি-র জন্য অপেক্ষা করছে তদন্তকারী সংস্থা ৷ তা না-পাওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না ৷
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিনের আবেদনের শুনানি ছিস ৷ সেখানেই সিবিআইয়ের তরফে জামিনের বিরোধিতা করা হয় ৷ আর বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে না পারার কারণ হিসেবে, মুখ্যসচিবের তরফে এনওসি না আসার বিষয়টি জানায় সিবিআই ৷ এদিন আদালত প্রশ্ন তোলে, "সরকারি আধিকারিক যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের ট্রায়াল শুরুর জন্য কেন স্যাংশান দিচ্ছেন না মুখ্যসচিব ? এর জবাব রিপোর্ট আকারে জমা দিতে হবে মুখ্যসচিবকে ৷" আদালতের এই নির্দেশ মুখ্যসচিবের কাছে সিবিআই ও হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে ৷
আজ সিবিআইয়ের হয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করেন, অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ৷ সেখানেই তিনি বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন, "আদালত সিবিআইয়ের রিপোর্ট চেয়েছিল ৷ আমরা সেই রিপোর্ট জমা দিতে চাই ৷ গভর্নরের তরফ থেকে স্যাংশান এসেছে পার্থ চ্যাটার্জির বিষয়টা ৷ তবে, অন্য পাব্লিক সার্ভেন্টের বিষয়ে চিফ সেক্রেটারিকে ডিসেম্বর 2022 থেকে মার্চ 2024 পর্যন্ত চিঠি দেওয়ার পরেও কোন স্যাংশান আসেনি ৷"
তবে, চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "অন্য একটি বেঞ্চে রাজ্য জানিয়েছে, সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে চিফ সেক্রেটারির স্যাংশান দেওয়ার কোনও প্রয়োজন হয় না ৷" উল্লেখ্য রাজ্যের তরফে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে এর আগে জানানো হয়েছিল, অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিম্ন আদালতের এক্তিয়ার ভুক্ত ৷ সেখানেই অনুমতি সংক্রান্ত মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে ৷ তারই মধ্যে এবার সরাসরি মুখ্যসচিবকে হাইকোর্ট নোটিশ পাঠাল ৷
আরও পড়ুন: