ETV Bharat / bharat

ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনায় তির-ধনুক নাকি পদ্মফুল ? - ASSEMBLY ELECTION 2024

আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডে এবার কার দাপট ? সাঁওতাল পরগনার 18টি আসনে তির-ধনুক হঠিয়ে পদ্মফুল ফুটবে ?

Jharkhand Assembly Election 2024
ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন 2024 (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 23, 2024, 12:25 AM IST

রাঁচি, 22 নভেম্বর: ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে সাঁওতাল পরগনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে গণ্য করা হয় ৷ যে দলই ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করুক না কেন, সেক্ষেত্রে এই সাঁওতাল পরগনার সমর্থন খুব জরুরি ৷ ঝাড়খণ্ডের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে 81টি আসনের মধ্যে সাঁওতাল অধ্যুষিত 18টি আসনের অবদান উল্লেখযোগ্য ৷

এই সাঁওতাল পরগনাই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) শক্তিশালী ঘাঁটি ৷ হেমন্ত সোরেন নিজেই বারহাইত থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন ৷ প্রশ্ন, এবারও কি জেএমএমকে জেতাবে সাঁওতাল পরগনা ? ভোটে গুরুত্বপূর্ণ এই পরগনার মাহাত্ম্য কিন্তু বিজেপিও বোঝে ৷ তাই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সাঁওতাল পরগনা ছিনিয়ে নিতে প্রচুর পরিশ্রম করেছে বিজেপি ৷ যাতে 2019 সালে নির্বাচনের ফলাফলের থেকে ভালো ফল হয় ৷ সেবার গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে এসেছিল 12টি ভোট ৷

সেবার ভোটে সাঁওতাল পরগনায় বিজেপি ধরাশায়ী হয়েছিল ৷ তার আগে 2014 সালে পদ্ম শিবিরকে 7টি আসন দিয়েছিল সাঁওতাল পরগনা ৷ পরের বার তা কমে 4 হয় ৷ এদিকে জেএমএম 2014 সালে 6টি আসন পায় ৷ পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে তা বেড়ে দাঁড়ায় 9 ৷

2019 সালে অবশ্য জেএমএম ও কংগ্রেস জোট বেঁধে লড়াই করেছিল ৷ কংগ্রেসও এই এলাকা থেকে 4টি আসন পেয়েছিল ৷ সেবার 18টি আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র 4টিতে জিততে পেরেছিল ৷ পাশাপাশি জেএমএম ও কংগ্রেস জোট পেয়েছিল 13টি আসন ৷ একটি আসন পেয়েছিল ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম) ৷ প্রদীপ যাদব জেভিএম টিকিটে পোড়েইয়াহাট বিধানসভা থেকে জয়ী হয়েছিলেন ৷ পরে অবশ্য জেভিএম কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যোগ দেয় ৷ তার ফলে সাঁওতাল পরগনার 18টির মধ্যে 14টি আসনই কংগ্রেস জোটের দখলে চলে যায় ৷

সাঁওতাল পরগনা ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে এত গুরুত্বপূর্ণ কেন ? কারণ, এখান থেকেই তিনজন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ৷ বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও এখান থেকেই জয়ী হয়েছেন ৷ এই এলাকার ফলাফল ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিকে প্রচণ্ড প্রভাবিত করে ৷ শুধু তাই নয়, এর কাছাকাছি অবস্থিত ধানবাদ-গিরিডির ভোটারদেরও প্রভাবিত করে সাঁওতাল পরগনার মানুষ ৷

প্রায় সব রাজনৈতিক দলই সাঁওতাল পরগনায় নিজেদের মাটি শক্ত করতে চেয়েছে ৷ এবার এখানে এনডিএ জোটের প্রচারের মূল হাতিয়ার ছিল ডেমোগ্রাফির পরিবর্তন এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ইস্যু ৷ এদিকে ইন্ডিয়া জোট মানুষের সামনে জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলিকে তুলে ধরেছিল ৷ সংবিধান রক্ষা, সংরক্ষণের মতো বিষয়গুলি নিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টায় প্রতিপক্ষ বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে চেয়েছে 'ইন্ডিয়া' ৷

এবারেও জেএমএম তার শক্তিশালী ঘাঁটিটি হারাতে একেবারেই নারাজ ৷ নির্বাচনী প্রচারেই তার ঝলক দেখিয়েছে তারা ৷ দলের প্রধান মুখপাত্র মনোজ পাণ্ডে বিশ্বাস করেন, ইন্ডিয়া জোট আগের থেকেও ভালো ফল করবে ৷ 18টির মধ্যে 15টি আসনে তো জিতবেই এই জোট ৷ দলের সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্যও মনোজ পাণ্ডের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন ৷ তিনিও দাবি করেছেন, এবার 15টি আসনের দখল নেবে ইন্ডিয়া জোট ৷ এবার ফলাফলের অপেক্ষা ৷

রাঁচি, 22 নভেম্বর: ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে সাঁওতাল পরগনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে গণ্য করা হয় ৷ যে দলই ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করুক না কেন, সেক্ষেত্রে এই সাঁওতাল পরগনার সমর্থন খুব জরুরি ৷ ঝাড়খণ্ডের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে 81টি আসনের মধ্যে সাঁওতাল অধ্যুষিত 18টি আসনের অবদান উল্লেখযোগ্য ৷

এই সাঁওতাল পরগনাই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) শক্তিশালী ঘাঁটি ৷ হেমন্ত সোরেন নিজেই বারহাইত থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন ৷ প্রশ্ন, এবারও কি জেএমএমকে জেতাবে সাঁওতাল পরগনা ? ভোটে গুরুত্বপূর্ণ এই পরগনার মাহাত্ম্য কিন্তু বিজেপিও বোঝে ৷ তাই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সাঁওতাল পরগনা ছিনিয়ে নিতে প্রচুর পরিশ্রম করেছে বিজেপি ৷ যাতে 2019 সালে নির্বাচনের ফলাফলের থেকে ভালো ফল হয় ৷ সেবার গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে এসেছিল 12টি ভোট ৷

সেবার ভোটে সাঁওতাল পরগনায় বিজেপি ধরাশায়ী হয়েছিল ৷ তার আগে 2014 সালে পদ্ম শিবিরকে 7টি আসন দিয়েছিল সাঁওতাল পরগনা ৷ পরের বার তা কমে 4 হয় ৷ এদিকে জেএমএম 2014 সালে 6টি আসন পায় ৷ পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে তা বেড়ে দাঁড়ায় 9 ৷

2019 সালে অবশ্য জেএমএম ও কংগ্রেস জোট বেঁধে লড়াই করেছিল ৷ কংগ্রেসও এই এলাকা থেকে 4টি আসন পেয়েছিল ৷ সেবার 18টি আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র 4টিতে জিততে পেরেছিল ৷ পাশাপাশি জেএমএম ও কংগ্রেস জোট পেয়েছিল 13টি আসন ৷ একটি আসন পেয়েছিল ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম) ৷ প্রদীপ যাদব জেভিএম টিকিটে পোড়েইয়াহাট বিধানসভা থেকে জয়ী হয়েছিলেন ৷ পরে অবশ্য জেভিএম কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যোগ দেয় ৷ তার ফলে সাঁওতাল পরগনার 18টির মধ্যে 14টি আসনই কংগ্রেস জোটের দখলে চলে যায় ৷

সাঁওতাল পরগনা ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে এত গুরুত্বপূর্ণ কেন ? কারণ, এখান থেকেই তিনজন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ৷ বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও এখান থেকেই জয়ী হয়েছেন ৷ এই এলাকার ফলাফল ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিকে প্রচণ্ড প্রভাবিত করে ৷ শুধু তাই নয়, এর কাছাকাছি অবস্থিত ধানবাদ-গিরিডির ভোটারদেরও প্রভাবিত করে সাঁওতাল পরগনার মানুষ ৷

প্রায় সব রাজনৈতিক দলই সাঁওতাল পরগনায় নিজেদের মাটি শক্ত করতে চেয়েছে ৷ এবার এখানে এনডিএ জোটের প্রচারের মূল হাতিয়ার ছিল ডেমোগ্রাফির পরিবর্তন এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ইস্যু ৷ এদিকে ইন্ডিয়া জোট মানুষের সামনে জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলিকে তুলে ধরেছিল ৷ সংবিধান রক্ষা, সংরক্ষণের মতো বিষয়গুলি নিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টায় প্রতিপক্ষ বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে চেয়েছে 'ইন্ডিয়া' ৷

এবারেও জেএমএম তার শক্তিশালী ঘাঁটিটি হারাতে একেবারেই নারাজ ৷ নির্বাচনী প্রচারেই তার ঝলক দেখিয়েছে তারা ৷ দলের প্রধান মুখপাত্র মনোজ পাণ্ডে বিশ্বাস করেন, ইন্ডিয়া জোট আগের থেকেও ভালো ফল করবে ৷ 18টির মধ্যে 15টি আসনে তো জিতবেই এই জোট ৷ দলের সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্যও মনোজ পাণ্ডের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন ৷ তিনিও দাবি করেছেন, এবার 15টি আসনের দখল নেবে ইন্ডিয়া জোট ৷ এবার ফলাফলের অপেক্ষা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.