কলকাতা, 23 নভেম্বর: নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, রাজনৈতিক সমীকরণ বদল বা নির্ধারনের দিক থেকে উপ-নির্বাচনে তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ নয় ৷ কী হবে, তা মোটামুটি জানাই থাকে ৷ এছাড়া উপ-নির্বাচনে তো আর সরকার গড়া বা পড়ে যাওয়ার মতো বিশাল কোনও পরিবর্তন হয় না ৷ এটা সত্যি যে উপ-নির্বাচন সরকার বদল করে না ৷ তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কী হতে পারে, তার একটা ছবি দেখা যায় এই উপ-নির্বাচনের ফলাফলে ৷ বলা ভালো, ভোটারদের মন-মানসিকতা, তাঁরা কী ভাবছে তার প্রতিফলন ঘটে উপ-নির্বাচনে ৷ এর আগে বামফ্রন্ট আমলে 2009 সালে উপনির্বাচনে যেমন পশ্চিমবঙ্গে বাম শাসন অবসানের একটা আঁচ পাওয়া গিয়েছিল ৷
তখন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় রেলমন্ত্রী ৷ নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর আন্দোলনে চাপের মুখে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বামফ্রন্ট সরকার ৷ উত্তরবঙ্গের রাজগঞ্জ বিধানসভা, দক্ষিণ 24 পরগনার পশ্চিম বিষ্ণুপুর (অঞ্চল পুনর্বিন্যাসের ফলে এখন এই কেন্দ্রের অস্তিত্ব নেই), কলকাতার পূর্ব বেলগাছিয়া (অঞ্চল পুনর্বিন্যাসের ফলে এখন এই কেন্দ্রের অস্তিত্ব নেই)- এই তিনটি কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন হয় ৷ এর ফলাফল সিপিএমের পায়ের তলায় মাটি নড়িয়ে দিয়েছিল ৷
রাজগঞ্জ থেকে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেসের খগেশ্বর রাও ৷ তিনিই উত্তরবঙ্গে প্রথম তৃণমূল বিধায়ক ৷ পশ্চিম বিষ্ণুপুর থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূলের মদন মিত্র ৷ কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস জোট বেঁধে ভোটে লড়েছিল ৷ তাই ঘাসফুল প্রার্থীর জয়ের পথ সুগম করতে কংগ্রেস তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেয় ৷ লড়াইটা হয়েছিল সিপিআই(এম)-এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের । একেবারে ওয়ান-টু-ওয়ান ৷ জিতেছিলেন মদন মিত্র ৷
বাম বিধায়ক সুভাষ চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর পূর্ব বেলগাছিয়া আসনটি ফাঁকা হয়ে যায় ৷ তাই এই আসনটি সিপিআই(এম)-এর কাছে শুধু ভোটে জেতা নয়, ছিল আত্মসম্মানের লড়াইও ৷ প্রয়াত নেতার স্ত্রী রমলা চক্রবর্তীকে প্রার্থী করেছিল বামফ্রন্ট ৷ তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন সুভাষ চক্রবর্তীর একদা কাছের মানুষ সুজিত বসু ৷ কিন্তু রমলা চক্রবর্তী পরাজিত হলেন ৷ উপ-নির্বাচনে এমন ঘটনা ঘটে থাকে ৷ এরপর থেকে পশ্চিমবঙ্গবাসী শুধুই তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান দেখেছে ৷
এবারের উপ-নির্বাচন যেন 2009 সালের বামফ্রন্ট আমলের উপ-নির্বাচনের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে ৷ তালডাংরা, সিতাই, নৈহাটি, মেদিনীপুর, হাড়োয়া এবং মাদারিহাট ৷ এর মধ্যে মাদারিহাট ছাড়া বাকি বিধানসভাগুলি তৃণমূলের দখলে ৷ উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার অন্তর্গত এই বিধানসভা আসনটি বরাবরই বামফ্রন্টের রেভোলিউশনারি সোশালিস্ট পার্টি'র (আরএসপি) দখলে ছিল ৷
এমনকী 2011 সালে যখন বাংলা জুড়ে ঘাসফুলের দাপটে লাল রং ফিকে হয়ে যাচ্ছে, তখনও এই আসনটি ছিল আরএসপির ঝুলিতেই ৷ বদল হল পরের 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৷ সেবার ভারতীয় জনতা পার্টি 3টি আসনে পদ্ম ফুটিয়েছিল ৷ সেই আসনগুলির মধ্যে একটি মাদারিহাট ৷ এরপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও এই মাদারিহাট থেকেছে বিজেপিরই ৷ চলতি বছরের এপ্রিল-মে-জুনের লোকসভা নির্বাচনে লড়েন এই আসনের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা ৷ তিনিই জয়ী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন ৷ তাই 13 নভেম্বর এই আসনে ফের ভোট হয় ৷
তালডাংরা বিধানসভা আসনে 2011 সাল পর্যন্ত বাম বিধায়ক ছিলেন ৷ এর পরের বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার এই আসনটিতে জয়ী হন তৃণমূলের সমীর চক্রবর্তী ৷ তারপর 2021 সালের বিধানসভা ভোটে আসনটি তৃণমূলের দখলেই রাখেন অরূপ চক্রবর্তী ৷ চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন ৷ এই আসনে উপ-নির্বাচন হয় ৷ তবে উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অনন্যা রায় চক্রবর্তী একসময় তৃণমূলের সদস্য ছিলেন ৷ 2021 সালে পুরভোটে তাঁকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল ৷ তখন তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েন এবং জয়ী হয়ে কাউন্সিলর হন ৷ সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বাঁকুড়ায় গেলে অনন্যা গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন ৷ তাই এখানে তৃণমূল বনাম বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বলাই যায় ৷
কোচবিহার জেলার সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রটি বাম জমানাতেও কংগ্রেসের দখলে ছিল ৷ 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে প্রথম ঘাসফুল ফোটান জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া ৷ একুশের নির্বাচনেও তিনিই জয়ী হন ৷ এবার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন ৷ এই পরিস্থিতিতে এখানে উপ-নির্বাচন আবশ্যিক হয়ে পড়ে ৷
এই উপ-নির্বাচনের মধ্যে উত্তর 24 পরগনার দু'টি বিধানসভা হাড়োয়া ও নৈহাটি রয়েছে ৷ 13 নভেম্বর হাড়োয়া বিধানসভা উপ-নির্বাচনে ব্যাপক গোলমাল হয় ৷ এই কেন্দ্রের 37টি পোলিং স্টেশনে পুনরায় নির্বাচন হোক, এই দাবি জানিয়ে রিটার্নিং অফিসারকে চিঠি দেয় আইএসএফ । যদিও দিনের শেষে উপনির্বাচন মোটের উপর শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলেই জানায় নির্বাচন কমিশন ।
2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রয়াত হাজি নুরুল ইসলাম ৷ সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দল তাঁকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করে ৷ বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে 3 লক্ষ 33 হাজার ভোটে হারিয়ে হাজি নুরুল সাংসদ নির্বাচিত হন ৷ হাড়োয়া কেন্দ্র উপনির্বাচনে প্রয়াত হাজি নুরুলের ছেলে রবিউল ইসলাম তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ৷ তাঁর সঙ্গে লড়াই আইএসএফ ও বিজেপি প্রার্থীর ৷ রয়েছে কংগ্রেসের প্রার্থীও ৷
গত বিধানসভা নির্বাচনে হাড়োয়ায় হাজি নুরুল প্রতিদ্বন্দ্বী আইএসএফ প্রার্থীকে প্রায় 81 হাজার ভোটে পরাজিত করেছিলেন ৷ বিজেপি ছিল তৃতীয় স্থানে ৷ সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল হাড়োয়ায় প্রায় 1 লক্ষ 11 হাজার ভোটে লিড পেয়েছে ৷ স্বাভাবিকভাবে হাড়োয়া কেন্দ্রে বিরোধীদের পিছনে ফেলে তৃণমূল প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম অনেকটাই সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছেন ৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, আইএসএফ ও বিজেপি প্রার্থীরা লড়াই করলেও জয়ের সম্ভাবনা বিশেষ নেই ৷ হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে হাড়োয়ার পীর গোরাচাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৷ মোট 14 রাউন্ড ভোট গণনা হবে ৷ সেখানে 20টি গণনা টেবিল করা হয়েছে ৷ মোট 240 জন গণনা কর্মী থাকছেন ৷
অন্যদিকে, নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পার্থ ভৌমিক গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ৷ এবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে পার্থকেই প্রার্থী করে দল ৷ বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে হারিয়ে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন ৷ ফলে নৈহাটিতেও উপনির্বাচন হয়েছে ৷ সেখানে মূল লড়াই তৃণমূলের সনৎ দে-র সঙ্গে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন ও বিজেপি প্রার্থীর ৷
নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে পার্থ ভৌমিকের ছেড়ে যাওয়া আসনে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ ব্যাপক প্রচার করেছেন ৷ উল্লেখযোগ্য বিষয়, বামেদের একদা শক্ত ঘাঁটি নৈহাটিতে উপনির্বাচনে সিপিএম কোনও প্রার্থী দেয়নি ৷ তারা আসনটি এবার ছেড়ে দিয়েছে সিপিআই (এমএল) লিবারেশনকে ৷ এই উপ-নির্বাচনে লিবারেশন রাজ্যে প্রথমবার বাম জোটের অন্তর্ভুক্ত হল ৷
বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থীরা আলাদা করে লড়াই করেছেন। নির্বাচনী পরিসংখ্যান বলছে, 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক 18 হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেছিলেন ৷ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের লিড ছিল 15 হাজারেরও বেশি ৷ স্বাভাবিকভাবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শহরে জয়ের ব্যাপারে তৃণমূল বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেছে ৷ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, লড়াই করলেও লিবারেশন এবং বিজেপি প্রার্থী উপনির্বাচনে তেমন দাগ কাটতে পারবেন না ৷ নৈহাটি বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ভোট গণনা হবে ৷ মোট 1 লক্ষ 93 হাজার ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন 1 লক্ষ 22 হাজার ভোটার ৷ 21টি টেবিলে ভোটগণনা হবে ৷ মোট 10 রাউন্ড গণনা হবে ৷
মেদিনীপুরের নাম উঠলে প্রাক্তন সাংসদ বিজেপির দিলীপ ঘোষের কথা মনে পড়ে ৷ কিন্তু এই লোকসভা নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছেন ৷ মেদিনীপুর লোকসভা থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া ৷ তিনি মেদিনীপুর লোকসভা থেকে জয়ী হয়ে সাংসদ হন ৷ অতঃপর এই বিধানসভায় উপ-নির্বাচন হয় ৷ তৃণমূলের সুজয় হাজরার বিরুদ্ধে বিজেপির শুভজিৎ রায়, সিপিআই-এর মণিকুন্তল খামরুই এবং কংগ্রেসের শ্যামলকুমার ঘোষ ৷ বরাবরই এই আসনটি তৃণমূলের দখলে থেকেছে ৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের একাংশের মতে, এবারেও এখানে তৃণমূলই জিতবে ৷
ফল ঘোষণার দিন নিরাপত্তা
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটগ্রহণের দিনের পর গণনার দিনও স্ট্রংরুমে সমস্ত ইভিএম 24 ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে থাকবে ৷ শনিবার সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হবে ৷ প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে ৷ পোস্টাল ব্যালেট গোনা হবে মূল ঘরের পাশে একটি ঘরে ৷ স্ট্রংরুম থেকে আনা হবে ইভিএম। সবকটি ইভিএম গণনা হয়ে গেলে তা আসবে কাউন্টিং অবজারভারের টেবিলে ৷ কাউন্টিং অবজারভার এবং রিটার্নিং অফিসার সমস্ত খতিয়ে দেখে তারপর ফলাফল ঘোষণা করবেন ৷ পর্যবেক্ষকরা চাইলে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখবেন ৷ গণনা কেন্দ্রের ভিতরে কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না ৷ বেলা একটার মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷
গণনা কেন্দ্রের বাইরে 200 মিটার পর্যন্ত জারি থাকবে নতুন ধারা অনুযায়ী 163 ধারা ৷ প্রথম স্তরে থাকছে রাজ্য পুলিশ ৷ রাজ্যের লাঠিধারী এবং ASI পদাধিকারী পুলিশেরা থাকবেন ৷ এরপর দ্বিতীয় স্তরে থাকবে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ শেষ স্তরে থাকবে কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ গণনা কেন্দ্রের ভিতর প্রবেশ করার সময় সঙ্গে থাকবে শুধুমাত্র সাদা কাগজ ও পেন ৷ মোবাইল ফোন এবং বাকি সবকিছু গণনা কেন্দ্রের বাইরে রেখে ভিতরে ঢোকার ছাড়পত্র মিলবে ৷ গণনা কেন্দ্রে একমাত্র কাউন্টিং অবজারভার এবং রিটার্নিং অফিসার ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না বা মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না ৷
দ্বিতীয় স্তর যে জায়গাটি চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানেই সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে ৷ গণনা কেন্দ্রের ভিতর থাকছে সিসিটিভি, গণনা কেন্দ্রে কোনও রকম ওয়েবকাস্টিং হবে না ৷ লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের মতোই একই রকম নিয়ম থাকছে ৷
এই মুহূর্তে স্ট্রং রুম পাহারা দেওয়ার জন্য এক প্ল্যাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা আছে প্রত্যেকটি স্ট্রংরুমে ৷ এক প্ল্যাটুন অর্থাৎ 24 জন ৷ এই 24 জনকে তিনটে শিফটে 8 জন করে ডিউটি করতে হচ্ছে ৷ 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে নির্বাচন কমিশন যে নতুন নিয়ম তৈরি করেছে, তার ফলে যে কোনও রাজনৈতিক দল গণনা কেন্দ্রের 100 মিটারের মধ্যেই তাঁবু খাটিয়ে 24 ঘণ্টা নজরদারি চালাতে পারবে ৷ স্ট্রংরুমে যদি কেউ আসেন তাঁর জন্য সেখানে সিসিটিভি রাখা আছে ৷ কোনও রাজনৈতিক দল যাতে কোনও অভিযোগ তুলতে না পারে, সেই কারণেই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ৷ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সব রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি দিয়ে সকাল 7 টার মধ্যে গণনা কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ স্ট্রং রুমের সিল ও তালা খোলা হবে সব রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের সামনে এবং তা ভিডিওগ্রাফিও করা হবে ৷