কলকাতা, 23 ডিসেম্বর: সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়াতে এবার পথে নামল আইএমএ। সিবিআই না-পারলে তদন্তভার রাজ্যের উপর দেওয়ার কথাও শোনা গেল এদিন। সোমবার দুপুর 2টো থেকে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে জমায়েত করেন আইএমএ-এর বঙ্গীয় শাখার সদস্যরা। তিলোত্তমার বিচার চাই, আদৌ পারবে কি সিবিআই? এই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা।
তাঁদের তিন জনের প্রতিনিধি দল যান সিবিআই দফতরে। যদিও তাঁদের তরফে 5 জনের যাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ তিনজনই ভিতরে গিয়েছিলেন। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরেও খুশি নয় তাঁরা। সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে সোমবার দুপুর 2টো থেকে প্রায় বিকেল 4টে পর্যন্ত অবস্থান করেন আইএমএ-এর বঙ্গীয় শাখার সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন সপ্তমবারের জয়ী আইএমএ-এর রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেন। দুপুর 3টে নাগাদ আইএমএ-র সদস্যরা সিবিআইয়ের তিন আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। একটি ডেপুটেশন জমা দেন।
এরপর শান্তনু সেন বলেন, "সিবিআই তাদের পুরনো রেকর্ড এক্ষেত্রেও ধরে রেখেছে। কিন্তু আমরা বলেছি যদি আপনারা না-পারেন, তাহলে নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিন। তার পাশাপশি তদন্তভার রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিক। কারণ এই 100 দিনে তারা অনেক তদন্ত করে সত্যি উদঘাটন করতে পারত।" পাশাপশি তিনি আরও জানান, যদি সিবিআই দ্রুততার সঙ্গে চার্জশিট জমা করতে না-পারে তাহলে সিজিও কমপ্লেষ ঘেরাও করবে আইএমএ।
অন্যদিকে, সোমবার শুধু আইএমএ নয়, ন্যায়বিচারের দাবিতে পথে নেমেছিল আরও 2টি চিকিৎসক সংগঠন। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের তরফে একটি মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল সুবোধ মল্লিক স্কোয়্য়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। পাশাপাশি মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের তরফে একটি কনভেনশনের ডাক হয়েছিল শ্যামবাজারে। অন্যদিকে, জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে ধর্মতলায়। এই সমস্ত কর্মসূচিতেই অংশ নিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা। ছিলেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও।