ETV Bharat / bharat

নির্দলরাই এক্স ফ্যাক্টর! মহারাষ্ট্রের মসনদে কোন জোট ? - ASSEMBLY ELECTION 2024

বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর মহারাষ্ট্রে আবার মহা-গোলমাল হবে ? বিশেষজ্ঞদের একাংশ তেমনটাই আশঙ্কা করছেন ৷ এক্ষেত্রে রাজ্যপালের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলেই তাঁদের মত ৷

Maharashtra Assembly Elections 2024
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন 2024 (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 23, 2024, 12:15 AM IST

মুম্বই, 22 নভেম্বর: রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে ৷ ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে এমনটাই আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ ৷ এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি, শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত মহাযুতি জোটের সঙ্গে বিরোধী মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ) জোটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে ৷ এমভিএ জোটে কংগ্রেস ছাড়াও রয়েছে বিভক্ত এনসিপি (এসসিপি) ও উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ৷

সারা দেশের নজর থাকবে এই বিধানসভার ফলাফলের দিকে ৷ এখনও পর্যন্ত বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, মহাযুতি ও এমভিএ জোটের মধ্যে যে জোটই জয়ী হোক না কেন- তেমন উল্লেখযোগ্য ফারাক থাকবে না ৷ তাই সমীক্ষা যদি সত্যি হয়, তাহলে কোন জোটের কাছেই স্পষ্ট সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকলে ফের মহা-গোলমালের আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ ৷ এ রাজ্যে অবশ্য তা নতুন কোনও ঘটনা নয় ৷

মহারাষ্ট্রের এই রাজনৈতিক সংকটকালে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দলটিকেই সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানাবেন রাজ্যপাল ৷ এখানে দেখতে হবে রাজ্যপাল কাকে অর্থাৎ কোন দলকে প্রথম সরকার গড়ার জন্য তলব করেন ? সেই দলের সঙ্গে কোন জোটের সম্পর্ক রয়েছে ? এসবও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্দল বিধায়কদের সংখ্যা বৃদ্ধির একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে ৷

রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের ভবিষ্যদ্বাণী, এবারে 1995 সালের মতোই বিরাট সংখ্যক নির্দল বিধায়ক জিতবেন ৷ তখন সরকার গড়ার ক্ষেত্রে এই নির্দল বিধায়করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন। তাঁদের দাবিগুলি মানাতে চাপ সৃষ্টিও করবেন ৷ তবে, এই সবকিছুই ফলাফল ঘোষণার পরের ঘটনা ৷

মহাযুতি কি রাজ্যে মহারাষ্ট্রের মসনদে টিকে থাকবে ? নাকি এমভিএ জোট এবার ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে পারবে ? বিজেপিকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে চাপানউতোর চলছে সেই 2019 সাল থেকে ৷ 2022 সালের মাঝামাঝি ভাঙন ধরে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা শিবিরে ৷ এরপর শরদ পাওয়ারের এনসিপিতে ফাটল ধরে ৷ ভাইপো অজিত পাওয়ার বিজেপিকে সমর্থন করেন এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন ৷ ঠিক যেমনটা হয়েছিল একনাথ শিন্ডের ক্ষেত্রে ৷ সেক্ষেত্রে দু'টি দল ভাঙার জন্য দায়ী বিজেপির প্রতি মহারাষ্ট্রের মানুষের মত কী, তা জানা যাবে এবারের বিধানসভা ভোটে ৷ বঞ্চিত আবেগের নৌকায় ভর করে এমভিএ জোট কি পারবে মহারাষ্ট্রের বৈতরণী পার করতে ?

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন- এ নিয়ে কোনও পক্ষই কিছু ঘোষণা করেনি ৷ কারণ মহাবিকাশ আঘাড়ি ও মহাযুতি জোটের কোন দলটি সবচেয়ে বেশি আসন পাবে, তার উপরই এই সিদ্ধান্ত অনেকাংশে নির্ভর করছে ৷ এমভিএ জোটের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন- তা নিয়ে ইতিমধ্যে কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি নানা পাটোলে, উদ্ধবের শিবসেনা শিবিরের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন ৷ বারবার বৈঠক ডেকে আলোচনাও হয়েছে ৷ মহাযুতির ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি ৷ ফলাফল কী হতে পারে তা আঁচ করে নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন দু'পক্ষের নেতারাই ৷

মহাযুতির এই বিধানসভা নির্বাচনী লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ৷ কিন্তু তাঁর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি ও অজিত পাওয়ারের জোট ৷ এদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথমে শপথ নিলেও পরে ইস্তফা দিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ ৷ তিনি এবং এনসিপি'র অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নেই ৷ কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, আসল প্রতিযোগিতা এই দু'জনের মধ্যেই ৷ সবমিলিয়ে দিনের শেষে নির্দলরাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন ৷

মুম্বই, 22 নভেম্বর: রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে ৷ ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে এমনটাই আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ ৷ এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি, শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত মহাযুতি জোটের সঙ্গে বিরোধী মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ) জোটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে ৷ এমভিএ জোটে কংগ্রেস ছাড়াও রয়েছে বিভক্ত এনসিপি (এসসিপি) ও উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ৷

সারা দেশের নজর থাকবে এই বিধানসভার ফলাফলের দিকে ৷ এখনও পর্যন্ত বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, মহাযুতি ও এমভিএ জোটের মধ্যে যে জোটই জয়ী হোক না কেন- তেমন উল্লেখযোগ্য ফারাক থাকবে না ৷ তাই সমীক্ষা যদি সত্যি হয়, তাহলে কোন জোটের কাছেই স্পষ্ট সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকলে ফের মহা-গোলমালের আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ ৷ এ রাজ্যে অবশ্য তা নতুন কোনও ঘটনা নয় ৷

মহারাষ্ট্রের এই রাজনৈতিক সংকটকালে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দলটিকেই সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানাবেন রাজ্যপাল ৷ এখানে দেখতে হবে রাজ্যপাল কাকে অর্থাৎ কোন দলকে প্রথম সরকার গড়ার জন্য তলব করেন ? সেই দলের সঙ্গে কোন জোটের সম্পর্ক রয়েছে ? এসবও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্দল বিধায়কদের সংখ্যা বৃদ্ধির একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে ৷

রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের ভবিষ্যদ্বাণী, এবারে 1995 সালের মতোই বিরাট সংখ্যক নির্দল বিধায়ক জিতবেন ৷ তখন সরকার গড়ার ক্ষেত্রে এই নির্দল বিধায়করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন। তাঁদের দাবিগুলি মানাতে চাপ সৃষ্টিও করবেন ৷ তবে, এই সবকিছুই ফলাফল ঘোষণার পরের ঘটনা ৷

মহাযুতি কি রাজ্যে মহারাষ্ট্রের মসনদে টিকে থাকবে ? নাকি এমভিএ জোট এবার ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে পারবে ? বিজেপিকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে চাপানউতোর চলছে সেই 2019 সাল থেকে ৷ 2022 সালের মাঝামাঝি ভাঙন ধরে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা শিবিরে ৷ এরপর শরদ পাওয়ারের এনসিপিতে ফাটল ধরে ৷ ভাইপো অজিত পাওয়ার বিজেপিকে সমর্থন করেন এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন ৷ ঠিক যেমনটা হয়েছিল একনাথ শিন্ডের ক্ষেত্রে ৷ সেক্ষেত্রে দু'টি দল ভাঙার জন্য দায়ী বিজেপির প্রতি মহারাষ্ট্রের মানুষের মত কী, তা জানা যাবে এবারের বিধানসভা ভোটে ৷ বঞ্চিত আবেগের নৌকায় ভর করে এমভিএ জোট কি পারবে মহারাষ্ট্রের বৈতরণী পার করতে ?

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন- এ নিয়ে কোনও পক্ষই কিছু ঘোষণা করেনি ৷ কারণ মহাবিকাশ আঘাড়ি ও মহাযুতি জোটের কোন দলটি সবচেয়ে বেশি আসন পাবে, তার উপরই এই সিদ্ধান্ত অনেকাংশে নির্ভর করছে ৷ এমভিএ জোটের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন- তা নিয়ে ইতিমধ্যে কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি নানা পাটোলে, উদ্ধবের শিবসেনা শিবিরের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন ৷ বারবার বৈঠক ডেকে আলোচনাও হয়েছে ৷ মহাযুতির ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি ৷ ফলাফল কী হতে পারে তা আঁচ করে নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন দু'পক্ষের নেতারাই ৷

মহাযুতির এই বিধানসভা নির্বাচনী লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ৷ কিন্তু তাঁর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি ও অজিত পাওয়ারের জোট ৷ এদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথমে শপথ নিলেও পরে ইস্তফা দিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ ৷ তিনি এবং এনসিপি'র অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নেই ৷ কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, আসল প্রতিযোগিতা এই দু'জনের মধ্যেই ৷ সবমিলিয়ে দিনের শেষে নির্দলরাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.