কলকাতা, 25 মে: অতি গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে রেমাল। সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে সুন্দরবন এলাকার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল'-এর। প্রভাব পরবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকা-সহ অন্যান্য জায়গায় ৷ ইতিমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে প্রস্তুত লালবাজার। কলকাতা পুলিশের জল পুলিশ বা রিভার ট্রাফিক পুলিশও অতিরিক্ত নজরদারি বাড়িয়েছে।
কলকাতা রিভার ট্রাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, বাগবাজার, বাজা কদমতলা ঘাট থেকে শুরু করে হাওড়ার একাধিক জায়গা, বেলুড়, বালি-সহ উত্তরপাড়া, কোন্নগরের একাধিক ঘটে বাড়তি নজরদারি চালানো হবে। পাশাপাশি দক্ষিণের আমতলা, গার্ডেনরিচ, দক্ষিণ বন্ধন থানা-সহ একাধিক ঘাটে শনিবার রাত থেকেই বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে কলকাতার রিভার ট্রাফিক পুলিশ।
আরও পড়ুন:
লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতা রিভার ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে উত্তর থেকে দক্ষিণের বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে প্রায় আট'টি স্পিড বাইক নিয়ে গঙ্গাবক্ষে টহল দেবেন পুলিশ কর্মীরা। বাগবাজার ঘাট, কাশি মিত্র ঘাটের পাশাপাশি নিমতলা শ্মশান ঘাটেও মাইকিং করা হবে ৷ যেহেতু অনেক শ্মশান যাত্রীরা গঙ্গার ঘাটে ভীড় জমান, তাই সাবধান করতেই প্রতিনিয়তই মাইকিং করা হবে বলে জানা গিয়েছে ৷
রেমাল মোকাবিলায় কলকাতার রিভার ট্রাফিক পুলিশের কাছে থাকছে আটটি স্পিড রিভার বাইক, দশটির ওপরে স্পিডবোট, অত্যাধুনিক স্টিমার-লঞ্চ সহ একাধিক বাহিনী। গঙ্গাবক্ষে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এছাড়াও রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত ডুবুরিও। রেমালের জন্য কলকাতা রিভার ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে থানা গুলিও।
ইতিমধ্যেই, দক্ষিণ 24 পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকায়গুলিতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম । মৎস্যজীবীদের আগেই সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ৷ গঙ্গাসাগরের তীরে চলছে মাইকিং ৷ সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী ত্রাণ শিবিরগুলিতে প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষের মুখে ৷ মজুত রাখা হচ্ছে শুকনো খাবার ও পানীয় জল ।
আরও পড়ুন:
রেমালের প্রভাব মালদাতেও, অতিভারী বৃষ্টির সঙ্গে বাড়ছে বজ্রপাতের শঙ্কাও