কলকাতা, 1 অগস্ট: লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি সিপিআইএমের দলীয় চিঠিতে ৷ কর্মীদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, লক্ষ্মীর ভান্ডারকে কটাক্ষ করাটা নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে গিয়েছে । লক্ষ্মীর ভান্ডারকে উৎকোচ বলে কটাক্ষ করেছিলেন দলীয় কর্মীদের একাংশ, যা গরিব মানুষের থেকে দলকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে । লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রাথমিক পর্যালোচনার পর প্রকাশিত পার্টি চিঠির 14 নম্বর পাতায় এবিষয়টি উল্লেখ করেছে সিপিআইএম ।
চিঠিতে নিচুতলাকে দুষে একথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে, বিজেপির প্রতি নরম অবস্থান পার্টি লাইনের পরিপন্থী । পাশাপাশি ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাস্ত করার আহ্বান জানানো হলেও, প্রকৃত প্রচারের সময় নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে সংসদীয় নির্বাচনে লড়াই করার প্রতি মনোযোগ কম ছিল । তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে সিপিআইএমের চিঠিতে । সেখানে কর্মীদের শিক্ষিত করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে ৷
এদিকে, দিন কয়েক আগে জাতীয় স্তরে জাতীয় কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে । কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার কথা উপলব্ধি করলেও কার্যক্ষেত্রে তা করে দেখাতে পারেনি বলে দাবি বাম নেতাদের একাংশের ।
সম্প্রতি সিপিআই রাজ্য দফতর ভূপেশ ভবনে লাহিড়ী মুখার্জি হলে যোশী অধিকারী ইনস্টিটিউট অফ সোশাল স্টাডিজ আয়োজিত 'অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন: বামপন্থীদের দৃষ্টিতে' শীর্ষক আলোচনা সভায় বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলি কংগ্রেসের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেছে, "কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক দলগুলিকে কার্যক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ করায় কোনও ভূমিকা নেয়নি ৷ বিজেপি'র বিরুদ্ধে বামেদেরই আরও ঐক্য প্রয়োজন । মানুষের লড়াইয়ের ময়দানে থেকেই বৃহত্তর বাম ঐক্য গড়ে শক্তিশালী বিকল্প হয়ে উঠতে হবে ।" আর সেই কারণেই বঙ্গে বামফ্রন্টের সঙ্গে রাজ্যের বাইরের বামশক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ।