রামপুরহাট, 15 মার্চ: বারবার দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবার নিজের বাড়িতেই হোঁচট খেয়ে পড়ে কপালে ও নাকে সেলাই পড়েছে তাঁর ৷ আর তাই নিয়ে চিন্তিত কুসুম্বায় মুখ্যমন্ত্রীর মামা অনিল মুখোপাধ্যায় ৷ সাবধানে চলা ফেরা করার পরামর্শ দিলেন ভাগ্নিকে ৷ রাতেই ফোন করে ভাই নীহার মুখোপাধ্যায় দিদি মমতার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন ৷ আর তাঁর স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায় জানালেন, মমতার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তারাপীঠে পুজো দেবেন ৷ কুলদেবী ক্ষ্যাপাকালী মন্দিরে পুজো দিয়েছেন তাঁরা ৷
কয়েকদিন ছাড়া ছাড়া দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাই নিয়ে চিন্তিত তাঁর মামা অনিল মুখোপাধ্যায় ৷ তাঁর ভাগ্নির উপর পুরো রাজ্যের দায়িত্বভার ৷ তাই ভাগ্নিকে মামার পরামর্শ, "আমি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি ৷ আজ সকালে জানতে পারি ঘটনাটা ৷ চিন্তা তো হবেই ৷ ভয়ও লাগছে, বারবার কেন এমন ঘটনা ঘটছে ! আমি বলব সাবধানে চলা ফেরা করতে ৷"
দিদির সুস্থতা কামনা করে গতকাল সন্ধেতেই কালীঘাটের বাড়িতে ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন মামাতো ভাই নীহার মুখোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "বারবার দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় দুঃশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক ৷ খুবই চিন্তায় আছি ৷ কালকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে খবর নিয়েছি ৷ বাবার অনেক বয়স, চিন্তা করবে তাই রাতে ওনাকে জানান হয়নি ৷ দিদির ঘরটা খুবই ছোট ৷ কোনও ভাবে পড়ে গেছেন ৷"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তারাপীঠে মা তারার কাছে পুজো দেবেন বলে জানিয়েছেন, তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায় ৷ তাঁদের বাড়িতে কুলদেবী ক্ষ্যাপাকালীর পুজো দিয়েছেন ৷ উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নিজের ঘরেই হোঁচট খেয়ে পড়ে যান মমতা ৷ দ্রুত তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে তাঁর কপালে তিনটি ও নাকে একটি সেলাই পড়েছে ৷ সিটি স্ক্যান ও অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ তবে, দুর্ঘটনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা-সহ একাধিক বিষয়ে গাফিলি নজরে এসেছে ৷ কেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে 24 ঘণ্টার ডেমিক্যাল টিম নেই ? সেই প্রশ্নও উঠছে ৷
আরও পড়ুন: