ভাঙড়, 22 সেপ্টেম্বর: তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠকে সিন্ডিকেটের দখলকে কেন্দ্র করে আদি ও নব্য গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারির অভিযোগ ৷ শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের হাতিশালা থানা এলাকার কাঁঠালবেড়িয়া বুথে ৷ বিভিন্ন সংস্থার নির্মাণ শিল্পের ইমারতি সামগ্রী কারা সরবরাহ করবে, সেই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ বলে অভিযোগ ৷ ঘটনায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সঞ্জয় পৈলান নামে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ৷
জানা গিয়েছে, কাঁঠালবেড়িয়ায় তৃণমূলের বুথ কমিটি গঠনের জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছিল ব্যাওতা 2 নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সাবির আলির নেতৃত্বে ৷ বৈঠকে কমিটি গঠনও হয় ৷ অভিযোগ, বৈঠক শেষে সাবির আলি এবং সঞ্জয় পৈলান, মারধর করেন সামন্ত মণ্ডল, অসীম হালদার এবং অমিতকুমার হালদারকে ৷ সঞ্জয় পৈলান আগ্নেয়াস্ত্র বের করেন বলে অভিযোগ ৷ বন্দুকের বাঁট দিয়ে অমিতকুমার হালদারকে মারা হয় ৷ পালটা সাবির আলি এবং সঞ্জয় পৈলান গোষ্ঠীর উপর চড়াও হন বাকিরা ৷ মারধরের ঘটনায় দু’তরফের লোকজনই আহত হয়েছেন ৷
জানা গিয়েছে, মূলত সিন্ডিকেটের কাজে ব্যবহারের জন্য স্থানীয় একটি মাঠের দখলকে কেন্দ্র করে এই ঝামেলার সূত্রপাত ৷ সাবির আলি এবং সঞ্জয় পৈলানরা তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার অনুগত বলে এলাকায় পরিচিত ৷ অন্যদিকে, সামন্ত মণ্ডল, অসীম হালদার এবং অমিতকুমার হালদাররা আরাবুল ইসলাম গোষ্ঠীর লোক বলে জানা গিয়েছে ৷ এই ঘটনার সময় সেখানে ভাঙড় 2 নম্বর ব্লক প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ মোমিনুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন ৷ মূলত, তাঁর নেতৃত্বেই এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন আরাবুল গোষ্ঠীর লোকজন ৷
এ নিয়ে ব্যাওতা 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সাবির আলি এবং প্রাণিসম্পদের কর্মাধ্যক্ষ মমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ৷ তাঁরা দাবি করেছেন, অশান্তি ঘটেছে ৷ কিন্তু, তাঁদের অফিসে বা সামনে কিছু হয়নি ৷ পুরো ঘটনাটি বাইরে ঘটেছে ৷ এ বিষয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করবেন না-বলে জানিয়েছেন ৷ এই ঘটনায় দু’তরফেই হাতিশালা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷