চিত্তরঞ্জন, 5 ফেব্রুয়ারি: আগের বছর সংখ্যাটা ছিল 436। এবার বাড়ল আরও 100। চলতি আর্থিক বছরর 540টি লোকো ইঞ্জিন বানানোর লক্ষ্য মাত্রা ছিল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার। কঠিন হলেও সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে যাওয়াই এখন পাখির চোখ। শুধু তাই নয় আবার নতুন করে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে চিত্তরঞ্জন লোকোমেটিভ ওয়ার্কসের। ফ্রেবুয়ারির শুরুতেই তথ্য বলছে, ইতিমধ্যে 500টি ইঞ্জিন বানিয়ে ফেলেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। এর আগে এর চেয়ে বেশি উৎপাদন কখনই হয়নি এই রেল কারখানার। চলতি আর্থিক বছরে শুধু লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করাই নয়, আরও বড় রেকর্ডের দিকে এগোচ্ছে কারখানা।
লোকো ইঞ্জিন উৎপাদনে বারবার নজির এবং বিশ্বরেকর্ড করেছে চিত্তরঞ্জন লোকোমেটিভ ওয়ার্কস বা সিএলডব্লুউ। করোনা কালের পর অতীতের সব রেকর্ডকে ভেঙে চলতি আর্থিক বর্ষে 540টি রেল ইঞ্জিন বানানোর টার্গেট নিয়েছিল চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেই গোটা বিশ্বের কাছে চমকে দেওয়ার মত খবর হবে। যদিও জানুয়ারি পর্যন্ত উৎপাদনের হার বলেই দিচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা আর বেশি দূরে নেই। আর চলতি আর্থিক বছরে চিত্তরঞ্জন লোকোমেটিভ ওয়ার্কস যা সব নজির গড়েছে তাতে অসম্ভব কিছুই নয়। কারখানা সূত্রে জানা গেছে গত 31 জানুয়ারি এবছরের উৎপাদনের 500তম ও 501তম জোড়া পুশপুল রেল ইঞ্জিন জাতীর উদ্দেশ্যে কারখানা থেকে রওনা করানো হয়েছে। এই শুভক্ষণে উপস্থিত ছিলেন কারখানার জিএম হিতেন্দ্র মালহোত্রা থেকে শুরু করে উচ্চ আধিকারিকরা।
2019-20 সালে 402টি ইঞ্জিন বানিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করে লিমকা বুক অফ রেকর্ডে নাম উঠেছিল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার। করোনা কালে উৎপাদনে সামান্য ঘাটতি এলেও গত আর্থিক বর্ষে 436টি রেল ইঞ্জিন প্রস্তুত করেছিল সিএলডব্লু। কিন্তু এবার রেল বোর্ড লক্ষ্যমাত্রা দেয় গত আর্থিক বছরের চেয়ে উৎপাদনের সংখ্যা একশোটি বাড়ানো। মোট 540টি ইঞ্জিন তৈরির লক্ষ্য মাত্রা দেয় রেলবোর্ড। অর্থ্যাৎ প্রতিদিন একটির বেশি ইঞ্জিন উৎপাদন করতেই হত।
কিন্তু অসম্ভব কিছুই না। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অর্থবর্ষে শেষ দিকে মার্চ মাসে একদিনে 12টি রেল ইঞ্জিন বানিয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার দক্ষ শ্রমিকরা। এবছরে গত এপ্রিল-মে মাসে কাজ শুরু করেই 67টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করা হয়েছিল। জুন মাস থেকে সেই কাজে আরও গতি আসে। শুধু জুন মাসেই 55টি লোকোমেটিভ তৈরি হয়েছে।
সবমিলিয়ে ইতিমধ্যেই 500টি ইঞ্জিন তৈরি হয়ে গিয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা আর সামান্য দূর। হাতে দুমাস সময়। তাই আশা করা হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে এক বিরাট রেকর্ড গড়ে বিশ্বে নজির গড়তে চলেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। কারখানার জেনারেল ম্যানেজার হিতেন্দ্র মালহোত্রা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শ্রমিকদের। এখন একদিকে অত্যাধুনিক পুশপুল লোকো ইঞ্জিন প্রস্তুত অন্যদিকে বন্দে ভারতের মত দ্রুত পাল্লার ট্রেনেরও রেল ইঞ্জিন প্রস্তুত করছে সিএলডব্লুউ।
আরও পড়ুন: