কলকাতা, 17 অগস্ট: আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সিবিাই স্ক্যানারে মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ৷ শুক্রবার প্রায় মাঝরাস্তা থেকে তুলে কমপ্লেক্সে আনা হয়েছিল প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। রাতভর 14 ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার ভোর রাতে তাঁকে ছাড়া হয়। আর ছাড়ার সময়ই ফের তাঁকে এদিন সকালে ফের সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে বলা হয়েছে। সেই মতো এদিন সকাল 10টা নাগাদ সিজিও-তে হাজির হন সন্দীপ ৷
সিবিআইয়ের দাবি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগোপন করছেন এই সন্দীপ। মূলত সন্দীপের সম্পর্কে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, তিনি আরজি করে অধ্যক্ষ থাকাকালীন যথেষ্ট প্রভাব খাটিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের উপর। সন্দীপের এই প্রভাব প্রতিপত্তি কোথা থেকে এলো, তা জানার জন্যই 14 ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। এদিন অবশ্য সিজিও-তে ঢোকার সময় সন্দীপ জানিয়েছেন, তিনি তদন্তে সবরকম সাহায্য করছেন ৷ তাঁর কথায়, "আমাকে সিবিআই গ্রেফতার করেনি ৷ আমি তদন্তে সবরকম সহায়তা করছি ৷"
তবে সিবিআইয়ের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে একেবারেই সাহায্য করেননি সন্দীপ ঘোষ। উলটে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, যখন ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়, সেই সময় তিনি পুলিশকে নিয়ে প্রথম ঘটনাস্থলে গিয়ে গোটা বিষয়টি পুলিশকে ভালোভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে সিবিআই তরফে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, এই ঘটনায় তিনি অধ্যক্ষ হিসাবে কী কী করেছিলেন এবং এই পদক্ষেপে তদন্তে কতটা প্রভাব পড়েছিল ? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও পর্যন্ত পাননি সিবিআই গোয়েন্দারা। সন্দীপ তথ্যগোপন করছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের।
সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের সময় গতকাল তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। জানা গিয়েছে, এদিন সেই একই প্রশ্ন তাঁকে করবেন গোয়েন্দারা ৷ সেই উত্তর মিলিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই তদন্তভার গ্রহণ করার পর আরজি কর হাসপাতালে গিয়ে সেখানকার পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা ৷ এছাড়াও ওই নির্যাতিরা তরুণীর বেশ কয়েকজন সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে সকল তথ্য পেয়েছেন, সবদিক স্পষ্ট করার জন্যই আজ ফের অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।