কলকাতা, 9 নভেম্বর: আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে এবার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং চিকিৎসক আশীষ পাণ্ডের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির ঘটনায় প্রায় 200 কোটি টাকার তছরুপ হয়েছে। তবে এই টাকা কার কার কাছে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
জানা গিয়েছে, আশীষ পাণ্ডেকে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করে সিবিআই জানতে পেরেছে আরজি করে সন্দীপ ঘোষ যখন থেকে অধ্যক্ষের পদ সামলেছেন, ঠিক সেই সময় থেকেই হাসপাতালের অন্দরে চিকিৎসক আশীষ পাণ্ডের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। মূলত, আরজি কর হাসপাতালের ক্যাম্পাসের মধ্যে যে সকল বেআইনি নির্মাণ এবং বেআইনি কাজকর্ম চলত, সেই টাকা সবটাই আসত ধৃত আশীষ পাণ্ডের কাছে। পরে সেই টাকা হাত ঘুরে চলে যেত সন্দীপ ঘোষের কাছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সন্দীপ ঘোষের তরফ থেকে সেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হতো বিভিন্ন প্রভাবশালীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তবে কাদের কাছে টাকা পাঠানো হতো, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি ৷
গত 9 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার ওই হাসপাতালেরই এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ। পরে জানা যায়, ওই মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত নেমে কলকাতা পুলিশ তাদের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। পড়ে এই ঘটনার তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই ঘটনার তদন্তের নেমে আরজি কর হাসপাতালে যেখানে ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখান থেকে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে টালা থানার প্রাক্তন অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে। এরপরই তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে সিবিআইয়ের হাতে ৷