শিলিগুড়ি, 24 জানুয়ারি: আরজি করে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়কে জেলের ভেতর মেরে ফেলা হতে পারে । এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম । শুক্রবার দার্জিলিং জেলা সিপিএমের 24তম জেলা সম্মেলনে যোগ দিতে এসে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি । আর তার এই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিকমহলে জোর বিতর্ক ছড়িয়েছে ।
এ দিনের এই জেলা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ সেলিম, শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, জেলা সিপিএমের সম্পাদক সমন পাঠক, আহ্বায়ক জীবেশ সরকার-সহ অন্যান্যরা । এদিন সম্মেলনের পর আদিবাসীদের সঙ্গে আদিবাসী নাচেও পা মেলাতে দেখা যায় মহম্মদ সেলিমকে । সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরজি কর-কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ের সাজার প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন তিনি ৷
মহম্মদ সেলিম বলেন, "আমরা বললাম চোর ধর । আর রাজ্য সরকার আর সিবিআই চোর পুলিশ খেলা শুরু করে দিল । আমরা বলেছিলাম গণধর্ষণ হয়েছে । সেজন্য বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছিলাম । আর মুখ্যমন্ত্রীর আক্ষেপ যে দোষীর ফাঁসি হল না, তার কারণ তিনি চেয়েছিলেন ওপেন এন্ড শাট কেস । আর ভাইপোও তাই চেয়েছিল যে, এনকাউন্টারে মেরে ফেলতে । এখনও জেলে মেরে ফেলে দিতে পারে । এর জন্য সজাগ থাকতে হবে ।"
তিনি আরও বলেন, "তারা ভেবেছিল না রহেগা বাঁশ, না বাজেগি বাঁশুরি । একজনকে যদি খুন করে দেওয়া যায়, তাহলে সব বন্ধ হয়ে যাবে । কিন্তু সেটা হয়নি । একা সঞ্জয়কে বাঁচানোর জন্য তো গোটা রাজ্য, স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশ কমিশনার নেমে পড়েনি । এতো কোটি টাকা খরচ করে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট করতে হয়নি । তাহলে নিশ্চয়ই ডাল মে কুছ কালা হ্যায় ৷ সেই কালোটাই এখন বের করতে হবে ।"
অন্যদিকে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, "ইয়েতো আনা যানা লাগা রাহেগা । কে বিজেপি, কে তৃণমূল উত্তরবঙ্গে । আজকে যে বিজেপি, কাল সে তৃণমূল । ঝান্ডার রংটা আলাদা ৷ কিন্তু দু'জনের ঢংটা একই । লুট করো, মানুষকে ভাগ করো আর রাজত্ব করো । এজন্য আমরা বললাম, এ ফুলের বিরুদ্ধে ওই ফুল নয়, আর ওই ফুলের বিরুদ্ধে এই ফুল নয় । দুই ফুল মিলে বাংলার মানুষকে এপ্রিল ফুল বানাচ্ছে ।"
শেষে আদিবাসীদের সঙ্গে নাচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমাকে দেখে মনে হল আমি নতুন নাচছি । মোদি আর মমতা আদিবাসীদের নাচাচ্ছে, আর আমি তাদের সঙ্গে নাচছি ।"