কলকাতা, 13 ফেব্রুয়ারি: দশ বছর পেরিয়ে গেলেও শ্রমিক ট্রাইবুনালের নির্দেশ মানা হয়নি ৷ এবার সেই নির্দেশ কার্যকর না হলে উত্তরবঙ্গ পরিবহণ দফতরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) দীপঙ্কর পিপলাইকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম । আদালতের নির্দেশের পরেও চাকরি হয়নি কেন ? এনবিএসটিসির এমডি নির্দেশ পালন না করলে স্ব-শরীরে আদালতে আসার নির্দেশ দেবে হাইকোর্ট ।
এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, "আপনাদের আচরণ খুব খারাপ । এবার জেলে পাঠাব আপনাদের ৷ এজি (অ্যাডভোকেট জেনারেল) নিজে এসেছিলেন এই মামলায় । জানিয়েছেন 22 জন চাকরি প্রাপকদের মধ্যে নয় জন ডকুমেন্টস দিয়েছেন । কয়েকজনের বয়সও পার হয়ে গিয়েছে ৷"
মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "এবার লোকগুলো মরে যাবে, অনেকের ষাঠের উপর বয়স হয়ে গিয়েছে ৷
বলা হচ্ছে অনেকেই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দেননি । স্থায়ী বাসিন্দার (Domicile) সার্টিফিকেট দরকার । আর কী ডকুমেন্টস দেবে ? এগুলো অপ্রয়োজনীয় । নির্দেশ এড়ানোর অজুহাত । এমডি এই নির্দেশকে পালন করতে চাইছেন না তা স্পষ্ট ।"
এর আগে শ্রমিক ট্রাইবুনালের নির্দেশ ছিল 22 জনকে চাকরি দেওয়ার । 62-65 পর্যন্ত কাজ করতে পারেন এরা । এই বিষয়ে আদালতকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি । নির্দেশ না মানলে এমডিকে স্ব-শরীরের আসার নির্দেশ 6 মার্চ । ওইদিন ফের এই মামলার শুনানি হবে ।
2014 সালে শ্রমিক ট্রাইবুনাল এই 22 জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয় । কারণ তার আগে দীর্ঘদিন ধরে এরা পরিষেবা দিয়েছে । কিন্তু এই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের একক বিচারপতির বেঞ্চে আপিল করে উত্তরবঙ্গে পরিবহণ নিগম । কিন্তু, একক বিচারপতির বেঞ্চ ট্রাইব্যুনালে নির্দেশই বহাল রাখে । পরে ফের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল হয় । এদিন ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও রাজ্য এই নির্দেশ পালন না করলে এবার এমডিকেই আদালতে ডেকে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ।