কলকাতা, 23 এপ্রিল: পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নেওয়া পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা ৷ এডিজি সিআইডি-কে তাঁর নির্দেশ, এই প্রশ্ন ফাঁসের সব অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের যেখানে যত এফআইআর হয়েছে, সেগুলি একসঙ্গে তদন্ত করতে হবে । আগামী 22 মে আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে সিআইডি-কে । আপাতত ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ, নিয়োগ-সহ সব ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা ।
খাদ্য দফতরের সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের ক্ষেত্রে 480টি শূন্যপদ ছিল । গত 16 ও 17 মার্চ পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসএসি-র মাধ্য়মে খাদ্য দফতরের সাব ইন্সপেক্টর পদে চাকরির পরীক্ষা নেওয়া হয় ৷ প্রায় 12 লাখ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন । পিএসসি-র নির্দেশ ছিল, পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র জমা দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে বের হতে পারবেন ।
অভিযোগ, প্রশ্নপত্র পরীক্ষার একদিন আগেই বেরিয়ে যায় । পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র সোশাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ হয়ে গিয়েছিল । দ্বিতীয় ‘শিফটের’ পরীক্ষা শুরুর আগেই উত্তরপত্রও চাকরিপ্রার্থীদের মোবাইল চলে আসে । টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন গ্রুপে সেসব প্রশ্ন ও উত্তর বিক্রি হয়েছে পরীক্ষা শেষের আগেই ।
সেই নিয়ে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা । পরীক্ষা বাতিল করার আবেদন নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে । সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা ৷
উল্লেখ্য, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ এই রাজ্যে নতুন নয় ৷ এর আগে একাধিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেই এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে ৷ গত কয়েক বছরে মাধ্য়মিক ও উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে ৷ পুলিশের কাছে অভিযোগও জমা পড়েছে ৷ পুলিশি তদন্তে অনেকে গ্রেফতারও হয়েছেন ৷
তবে এই ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশে তদন্ত করবে সিআইডি ৷ এখন দেখার তাদের তদন্তে এই নিয়ে কী কী তথ্য় উঠে আসে ? আগামী 22 মে যখন আদালতে সিআইডি-র তরফে রিপোর্ট পেশ করা হবে, তখন নিশ্চয় এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উঠে আসবে ৷
আরও পড়ুন: