কলকাতা, 12 মার্চ: শেখ শাহজাহানের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট । মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শাব্বার রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে ৷ আদালত জানিয়েছে, যে নথি পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে তদন্ত চলছে । আদালত ইডির ভূমিকায় কোনও খামতি আছে বলে মনে করছে না । সেই জন্য শাহজাহানের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আদালত ৷
এ দিন শুনানিতে আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় শাহাজাহানের হয়ে বলেন, ‘‘কী অভিযোগে শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটাই স্পষ্ট নয় ।’’ তখন বিচারপতি দেবাংশু বসাক মন্তব্য করেন, ‘‘কিন্তু আপনি দোষ করেছেন তারপরই না আপনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে !’’
শাহজাহানের আইনজীবীর দাবি, ‘‘2023 সালের 12 ডিসেম্বর একটা অভিযোগ দায়ের হয় রেশন দুর্নীতি মামলায় । সেখানে শাহজাহান শেখ সরাসরি অভিযুক্ত নন । 5 জানুয়ারি তাঁর বাড়িতে অভিযান চালানো হয় । কিছু পাওয়া যায়নি । পরে ফের 23 ও 24 জানুয়ারি অভিযান চালানো হয় । নোটিশ দিয়ে শাহজাহানকে অথবা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে হাজির হতে বলা হয় । সেই সময় নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি ।’’
শাহজাহানের আইনজীবীর আরও দাবি, ‘‘তিনি তাঁর প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছিলেন ইডির অফিসে হাজিরা দিতে ।’’ অন্য এক অভিযুক্তের (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের) নাম উল্লেখ না করে আইনজীবী জানান, এক অভিযুক্তের বক্তব্যের ভিত্তিতে শাহজাহানকে সমন পাঠানো হয় । বিচারপতি বসাক শাহজাহানের আইনজীবীকে পরিষ্কার জানান, ‘‘আপনাকে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় দেওয়া যাবে না ।’’
ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, ‘‘প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাতে লেখা একটি চিঠিতে শাহজাহান শেখের নাম পরিষ্কার উল্লেখ ছিল । ইডি আধিকারিকরা যেদিন তাঁর সন্দেশখালির বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁকে (শাহজাহান) ফোন করে সহযোগিতা করতে বলা হয় । কিন্তু তার পর তিনি আর ফোন ধরেননি । এবং ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হন ৷ কিন্তু পুলিশ তাঁকে তার পর দিনের পর দিন গ্রেফতার করেনি ।’’
ইডির আইনজীবী আরও বলেন, ‘‘আমরা পরে তাঁকে একাধিক সমন পাঠিয়েছি । কিন্তু কোনও উত্তর দেননি তিনি ৷ শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে । তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণপত্র রয়েছে ৷’’
আরও পড়ুন: