বোলপুর, 8 এপ্রিল: পরীক্ষা না-নেওয়ায় আবারও অবস্থানে বসলেন বিশ্বভারতীর দৃষ্টিহীন পড়ুয়া ও ওড়িশার ছাত্রী ৷ সোমবার ছিল পরীক্ষার শেষ দিন ৷ এর পরেও যদি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনও সিদ্ধান্ত না-নেয়, তাহলে তাঁরা আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন ৷ এ দিন, ফের বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে ডেপুটেশন দেন তাঁরা ৷ এ প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, "আলোচনা হয়েছে । দ্রুত ছাত্রদের পক্ষেই একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷ তাঁদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে ৷"
বিশ্বভারতীর শিক্ষা বিভাগের এমএড প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র সৌরভ পান ও ছাত্রী মৌসুমী পাত্র ৷ হুগলির বাসিন্দা সৌরভ দৃষ্টিহীন ছাত্র । বিশ্বভারতীর বিনয়ভবন ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করেন ৷ একই ভাবে ওড়িশার বাসিন্দা মৌসুমীও বিনয়ভবন ছাত্রী নিবাসে থেকে পড়াশোনা করেন ৷ 20 মার্চ থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে । আজ পরীক্ষার শেষ দিন ৷ অভিযোগ, দৃষ্টিহীন ছাত্র ও ওই ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না । এই অভিযোগে দিনকয়েক আগেও তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করেই হাতে পোস্টার নিয়ে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন দুই পড়ুয়া ৷ এদিন ফের পোস্টার ব্যানার নিয়ে অবস্থানে বসেন দুই পড়ুয়া ৷
তাঁদের অভিযোগ, এখনও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ৷ পড়ুয়ারা জানান, এ দিনও যদি কোনও সিদ্ধান্ত না নেয় কর্তৃপক্ষ, তাহলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন ৷ দৃষ্টিহীন ছাত্র ও ভিন রাজ্যের ছাত্রীকে হেনস্থার জন্য ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে শান্তিনিকেতনে । অন্যান্য পড়ুয়ারাও পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের ৷
পড়ুয়া সৌরভ পান ও মৌসুমী পাত্র বলেন, "আমাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না, উপস্থিতি না-থাকার কারণ দেখিয়ে ৷ কিন্তু, আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি আমাদের উপস্থিতি নেই সেটা দেখান ৷ এখনও পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনও উত্তর দিচ্ছে না ৷ তাই আবার অবস্থানে বসলাম ৷ এভাবে আমাদের এক বছর নষ্ট হয়ে যাবে । ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ ওদের টেকনিক্যাল ভুলের জন্য । এ দিন কোনও সিদ্ধান্ত না নিলে আমরা আদালতে যেতে বাধ্য হব ।"
আরও পড়ুন: