কলকাতা, 9 নভেম্বর: সোমবার অর্থাৎ 11 নভেম্বর থেকে শিয়ালদা আদালতে আরজি কর ধর্ষণ ও খুন-কাণ্ডে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে ৷ ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে প্রথমেই সিবিআইয়ের অস্ত্র হতে চলেছে বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স ।
অভিযুক্তের বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স এবার হাতে পেয়েছে সিবিআই । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে পাওয়া এই 'বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স'ই হল আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীরে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বড় একটি 'অস্ত্র' । এই প্রমাণের ভিত্তিতে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা আগামিদিনে এই ঘটনার বিচারপর্ব এগিয়ে নিয়ে যাবেন । আগামী সোমবার থেকে শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মামলার প্রত্যেকদিন চলবে শুনানি ।
সিবিআই সূত্রে খবর, এই বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স থেকেই জানা গিয়েছে যে, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় একমাত্র অভিযুক্ত । আদালতেও বিভিন্ন সময় এই প্রমাণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে । আরজি কর হাসপাতালের চারতলায় সেমিনার হল থেকে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তাঁর বিভিন্ন পোশাক, কম্বল, বিছানার চাদর ও তুলো বালিশ-সহ একাধিক সামগ্রী ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করেছিল কলকাতা পুলিশ । সেগুলি সমস্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ।
সিবিআইয়ের তরফে জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় প্রথমদিন থেকেই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হতে পারে । এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে 51 জনের সাক্ষ্য নিতে পারে আদালত । শিয়ালদা আদালতে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে পেশ হওয়া চার্জশিটের একেবারে উপরে সাক্ষীর তালিকায় রয়েছে নির্যাতিতার পরিবার ও পরিচিতদের নাম ৷ তাই বিচারপর্বের শুরুর দিকে আদালত তাঁদের ডাকতে পারে ।
উল্লেখ্য, গত 9 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হল থেকে হাসপাতালেরই এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় । পরে জানা যায় তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে । সেই ঘটনার তদন্ত নেমে কলকাতা পুলিশ এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে এই ঘটনায় যুক্ত থাকা সন্দেহে গ্রেফতার করে । পরবর্তী সময়ে এই ঘটনা তদন্তভার চলে যায় সিবিআই-এর হাতে । তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ্যে আসে আরজি কর হাসপাতালের ব্যাপক দুর্নীতি । সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই ৷