কলকাতা, 17 মার্চ: দেশে লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায় এবং দেড় মাস ধরে ৷ পশ্চিমবঙ্গেও সাত দফাতেই নির্বাচন হবে ৷ পাশাপাশি চলবে চারটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ৷ সরকারি সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে ভোটের নজরদারিতে সারা দেশে 3.4 লক্ষ সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সেস বা সিএপিফ মোতায়েন করা হতে পারে ৷ এদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচন এবং 2023 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে বদ্ধপরিকর কমিশন ৷ তাই রাজ্যে সর্বোচ্চ 92 হাজার সিএপিএফ জওয়ান থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন চলবে 19 এপ্রিল থেকে 1 জুন পর্যন্ত ৷ ভোটগণনা 4 জুন ৷ 19 এপ্রিল, প্রথম দফায় ভোট হবে রাজ্যের উত্তরে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে ৷ সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র এদিনের নির্বাচনে নজরদারিতেই প্রায় 25 হাজার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হবে ৷ এক আধিকারিক বলেন, "19 এপ্রিল, প্রথম দফার নির্বাচনে প্রায় 250 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে ৷ প্রতিটি জেলায় একটি কন্ট্রোল রুম থাকবে ৷ উচ্চাধিকারিকরা এই কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকবেন ৷" এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী বা সিএপিএফতে প্রায় 100 জন জওয়ান থাকে ৷ অর্থাৎ রাজ্যের উত্তরে তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে 250 কোম্পানিতে 25 হাজার নিরাপত্তারক্ষী থাকবে ৷
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, "রাজ্যে অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সব দিক দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ৷ কোনও রকম অশান্তির ঘটনা সহ্য করা হবে না ৷" তিনি রাজনৈতিক দলগুলির কাছেও আর্জি জানিয়েছেন, দলের নেতারা যেন বিতর্কিত মন্তব্য না করেন ৷ তিনি আরও বলেন, "আর তা না হলে কঠিন পদক্ষেপ করা হবে ৷ 18 বছর বয়সের নীচে কাউকে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার করতে পারবে না ৷" এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নগদ 68 কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, জানিয়েছেন আরিজ আফতাব ৷ সোমবার তিনি রাজ্যের রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ৷
সিএপিএফ বাহিনীর মধ্যে রয়েছে- কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী বা সিআরপিএফ, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ, ইন্দো-তিবেটাল বর্ডার পুলিশ বা আইটিবিপি, সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজি ৷
আরও পড়ুন: