রাণাঘাট, 10 মে: "মমতার লজ্জা হওয়া উচিত। তিনি একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, অথচ তাঁর আমলেই সন্দেশখালিতে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে।" শুধু তাই নয়, দুর্নীতির দিক থেকেও দেশে প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নদিয়ার রাণাঘাটের সভা থেকে এই ভাষাতেই মমতার সমালোচনায় সরব হলেন অমিত শাহ।
বক্তব্য়ের একটি অংশে রামমন্দিরের প্রসঙ্গ আসে। অমিতকে বলতে শোনা যায়, "রামমন্দির অনেক বছর আগে তৈরি হওয়া উচিত ছিল। কংগ্রেস-তৃণমূল এবং কমিনিউস্টরা মন্দির তৈরি হতে দেয়নি । নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েই মন্দির সংক্রান্ত মমলায় জিতেছেন। ভূমিপূজো করেছেন। মন্দির তৈরিও করেছেন।" অমিত জানান, মোদি দশ বছরে গরিবের জন্য অনেক কাজ করেছেন। দশ কোটি গ্যাসের কানেকশন দিয়েছে। ১৪ কোটি নাগরিকেরে বাড়িতে জলের সংযোগও দিয়েছেন।
আসে সিএএ-র প্রসঙ্গও। বিজেপির এই প্রাক্তন সভাপতি বলেন, "মমতা সিএএ ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছন। কিন্তু আমি আপনাদের স্পষ্ট বলে যাচ্ছি, সিএএ-র দিকে কেউ হাত বাড়াতে পারবে না । মমতা ভোট ব্যাঙ্কের জন্য সিএএ-র বিরোধিতা করেছন। প্রতিটি শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।"
এরপরই মমতাকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, "দশ বছরে মমতা বাংলাকে শেষ করে দিয়েছেন। বাংলায় অনুপ্রবেশ বন্ধ হওয়া উচিত। সন্দেশখালির মতো ঘটনা বন্ধ হওয়া উচিত। অথচ সন্দেশখালিতে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। এসব দেখে মমতার লজ্জা হওয়া উচিত। কিন্তু মনে রাখবেন, সিবিআই সন্দেশখালির ঘটনার তদন্দ করছে। দোষীদের উলটো করে ঝুলিয়ে সিধে করে দেবে।"
সংক্ষিপ্ত ভাষণে আসে দুর্নীতির একাধিক প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, "মমতার সময় বেলাগাম দুর্নীতি হয়েছে। মমতার মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫০ কোটি চাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, দুর্নীতি যারা করেছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না । রেশন থেকে শুরু করে পৌরনিয়োগ, শিক্ষক এবং কয়লায় দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির প্রশ্নে মমতার সরকার দেশের মধ্যে সবার আগে।" ভাষণের শেষের দিকে রাজ্যে সন্ত্রাসের প্রশ্ন আসে। আমিত দাবি করেন, ভোটাররা যাতে ভয় পেয়ে বুথে না যান তার জন্য বোমাবাজি হচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশন সমস্ত ব্যবস্থা করে রেখেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। কারও ভয় পাওয়ার দরকার নেই।
আরও পড়ুন: