কলকাতা, 13 মার্চ: গত 5 জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার পর এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়েছিল শাহজাহান ৷ সিবিাইয়ের দাবি, শেখ শাহাজাহান গোটা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম থেকে ওই এলাকার হাটগাছিতে একটি স্কুলে দলের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে প্রতিরাতে বৈঠকও করত। সংশ্লিষ্ট বৈঠকেই ঠিক হত পরদিনের পরিকল্পনা।
শেখ শাহজাহানের ডান হাত বলে পরিচিত জিয়াউর মোল্লা এবং বাঁ-হাত বলে পরিচিত দিদার বক্স মোল্লাকে জেরা করে এই সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, এই সময় শেখ শাহজাহানকে আত্মগোপন করে থাকতে সাহায্য করেছিল তার দুই ভাই। প্রথমজন চিকিৎসক সিরাজ এবং দ্বিতীয় আলমগীর। বর্তমানে আলমগীর এবং সিরাজের খোঁজ চালাচ্ছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।
গত 5 জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর সন্দেশখালিতে আক্রমণের ঘটনার পরই রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল শেখ শাহজাহানকে। দিদার বক্স মোল্লাকে পৃথকভাবে জেরা করে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার পর হাটগাছির ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাবি খুলিয়েছিল শাহজাহানের ভাই সিরাজ।
সিবিাই-এর দাবি, এরপর থেকে সংশ্লিষ্ট স্কুলের অপর একটি ডুপ্লিকেট চাবি থাকতো সিরাজের কাছে। হাটগাছিতে পুলিশের এবং মিডিয়ার নজর এড়িয়ে প্রায় প্রতিদিনই সংশ্লিষ্ট স্কুলে রাতের অন্ধকারে বসত বিশেষ বৈঠক। সেই বৈঠকে স্থির হত পরদিন শেখ শাহজাহান কোথায় থাকবে। যদিও সিবিআই সূত্রের খবর, শুধু শেখ শাহজাহানকে পালিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিল সিরাজ এবং তাঁর ভাই আলমগীর, এমনটাই নয়। 56 দিন শেখ শাহজাহানকে আত্মগোপন করে থাকতে সাহায্য করেছিল সংশ্লিষ্ট এলাকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিও।
ইতিমধ্যেই তাদের নাম পরিচয় পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সেই সকল ব্যক্তিদেরও নোটিশ দিয়ে নিজাম প্যালেসের তলব করার প্রস্তুতি পর্ব চলছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও সিবিআই সূত্রে খবর, শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার পর তাকে জেরা করে যে সকল তথ্য তারা পেয়েছেন সেই সকল তথ্য একত্রিত করে বেশ কয়েকবার সন্দেশখালিতে তারা গেলেও এই সকল ব্যক্তির খোঁজ পাননি। সিবিআইয়ের অনুমান তারা বর্তমানে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন
সিবিআই আধিকারিকদের সামনেই নোটিশ ছিঁড়লেন সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্তের স্ত্রী
ইডির উপর হামলার ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারি সিবিআইয়ের, হেফাজতে 3 শাহজাহান ঘনিষ্ঠ