কলকাতা, 6 মার্চ: তৃণমূলের পর বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোটও একপ্রকার অনিশ্চিত ৷ মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর কথাতেই তা একপ্রকার স্পষ্ট ৷ বাংলায় ইন্ডিয়া জোটের বিষয়টি 'দিল্লির বিষয়' বলে সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি । পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে অধীর দাবি করেন, "বাংলায় যেটুকু কংগ্রেস আছে, তা তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপিকে পরাজিত করে টিকে আছে ৷ ফলে, প্রদেশ কংগ্রেস বরাবর এই দুই রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে দিল্লিকেও তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ বাকিটা দিল্লির বিষয়।"
সোমবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম কংগ্রেসকে সাবধান করে বলেছিলেন, "কংগ্রেসের দোদুল্যমানতা কাটাতে হবে ৷ আমাদের 42 আসনেই প্রার্থী তৈরি ৷" এই বক্তব্যের 24 ঘণ্টার মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য জোট নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে ৷ কারণ, আসন রফার বিষয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরী মঙ্গলবার বলেন, "এটা আমার সাবজেক্ট নয়, দিল্লির সাবজেক্ট ৷ সবচেয়ে ভালো, আপনারা দিল্লিকে জিজ্ঞেস করুন ৷ আমার কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি ৷ আমরা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের দ্বারা লাঞ্ছিত, শোষিত, অত্যাচারিত ৷ এখানে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে আছি ৷ এটা বাংলার কংগ্রেসের কাছে স্পষ্ট ৷ বাকিটা জাতীয় স্বার্থে দিল্লি কী করবে, তা দিল্লির লোকেরা বলতে পারবে ৷"
শুধু তাই নয়, আসনরফা নিয়ে এ রাজ্যে সিপিএমের সঙ্গে কথা হয়নি বলেও জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী ৷ দিল্লিতে কংগ্রেসে শীর্ষ নেতৃত্ব দরজা খোলার কথা জানালেও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি অন্যরকম ৷ কিন্তু, লোকসভা নির্বাচন দোরগড়ায় কড়া নাড়ছে ৷ যে কারণে মহম্মদ সেলিমরা আর অপেক্ষা করতে নারাজ ৷
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের স্পষ্ট বক্তব্য, বিধান ভবনকে দোদুল্যমানতা কাটাতে হবে ৷ না-হলে একলা চলোর পথে হাঁটতে পারে বামেরা ৷ যদিও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সেলিম গতকালই জানিয়েছিলেন, "আমরা 42 আসনের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বসে আছি ৷ তারপরও কংগ্রেস এবং আইএসএফের অপেক্ষায় আছি ৷ কারণ, আমরা চাই তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী সব রাজনৈতিক দল একজোট হয়ে লড়াই করুক ৷ কিন্তু, তাই বলে দীর্ঘদিন সময় দেওয়া যায় না ৷ কংগ্রেসকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে ৷"
আরও পড়ুন: