ETV Bharat / bharat

ঝাঁসির এই হাসপাতালে আর নয়! সদ্যোজাতকে লুকিয়ে রাখছেন মায়েরা

উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে 10 সদ্যোজাতের ৷ এরপর আতঙ্কিত মায়েরা সদ্যোজাতদের এই হাসপাতালে রাখতে চাইছেন না ৷

Jhansi Hospital Fire Tragedy
ঝাঁসি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে মা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

ঝাঁসি, 16 নভেম্বর: হাসপাতালের নিওন্যাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) বিধ্বংসী আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে 10 সদ্যোজাতের ৷ স্বভাবত, এমন ভয়াবহ ঘটনায় স্তম্ভিত হাসপাতালে থাকা বাকি মায়েরা, যাঁরা সদ্য সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ৷ তাঁদের অনেকেই শিশুকে লুকিয়ে রাখছেন ৷ এই হাসপাতালের উপর আর কোনও ভরসা নেই তাঁদের ৷

শুক্রবার রাত 10টা থেকে 10.30 মিনিটের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি মেডিক্যাল কলেজের এনআইসিইউ ওয়ার্ডে আগুন লাগে ৷ আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় কয়েকজনক সদ্যোজাতের ৷ এই শিউরে ওঠার মতো মর্মান্তিক ঘটনা চোখের সামনেই দেখেছেন অনেকে ৷ এরপর মায়েরা তাঁদের শিশুকে এই হাসপাতালে রাখতে নারাজ ৷ যদি আবার এমন কিছু হয় ! সে কথা ভেবেই আতঙ্কিত বাবা-মায়েরা ৷

তাই দেখা গেল, হাসপাতাল চত্বরে কম্বলের মধ্যে লুকিয়ে সদ্যোজাতকে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ৷ কোনওভাবেই এই ঝাঁসি মেডিক্যাল কলেজে তাঁরা তাঁদের সন্তানকে রাখবেন না ৷ তেমনই দাবি করছেন তাঁরা। এঁদের একজন বাবলি ৷ তিনি হামিরপুর জেলার রথ শহরের বাসিন্দা ৷ ইটিভি ভারতকে তিনি জানান, ঘটনার সময় তাঁর সদ্যোজাতকে স্তন্যপান করাচ্ছিলেন ৷ হঠাৎ চারদিক থেকে হইচই শুরু হয় ৷ একজন নার্সের গায়ে আগুন লেগে গিয়েছিল ৷ তিনি ওই অবস্থায় দৌড়তে দৌড়তে বাবলিকে চিৎকার করে বলতে থাকেন, "এখুনি আপনি এখান থেকে চলে যান ৷" পরে ওই নার্স নিজের পোশাক খুলে কোনওভাবে প্রাণে বাঁচেন ৷

এদিকে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল ৷ বাবলি তাঁর তিন দিনের শিশুকে কোলে নিয়ে চিৎকার করে স্বামীকে ডাকতে থাকেন ৷ ওয়ার্ডের বাইরে বেরনোর জন্য ছুটতে থাকেন ৷ সৌভাগ্যবশত তিনি তাঁর সন্তানকে বাঁচাতে পেরেছেন ৷ এরপর হাসপাতাল চত্বরে চোখের সামনেই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হন তাঁরা ৷ চোখের সামনে পুড়ে মৃত্যু হয় সদ্যোজাতদের ৷ স্ট্রেচারে করে তাদের দেহ বের করে আনা হচ্ছিল ৷ বেশ কয়েকটি দেহ একেবারে ঝলসে গিয়েছিল ৷ তারপর থেকে বাবলি নিজেকে শিশুকে কম্বলের তলায় লুকিয়ে রেখেছেন ৷

অনেকেই হাসপাতালের বাইরে তাঁদের সদ্যোজাতের সন্ধানে অপেক্ষা করছেন ৷ এই ভয়াবহ আগুনে তাঁদের সদ্যোজাত কেমন রয়েছে, আদৌ বেঁচে আছে কি না, তা জানতে পারেননি তাঁরা ৷

ললিতপুরের বাসিন্দা সঞ্জনা সোনির প্রথম সন্তানের চিকিৎসা যেখানে হচ্ছিল, সেখানেই আগুন লাগে ৷ ভয়ঙ্কর রাতের কথা মনে করে তিনি জানালেন, তাঁর ছেলে জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ৷ সদ্যোজাতের অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল ৷ সঞ্জনা তাঁর সদ্যোজাত ছেলেকে খাওয়ানোর জন্য যাচ্ছিলেন, তখন দেখেন একজন ডাক্তারের পায়ে আগুন ধরে গিয়েছে ৷ সবাই চিৎকার করছে ৷ প্রায় 15 জন সদ্যোজাতকে বের করে আনা হয় ৷ কিন্তু সঞ্জনার সন্তান কোথায়, তা তিনি জানেন না ৷

ঝাঁসি, 16 নভেম্বর: হাসপাতালের নিওন্যাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) বিধ্বংসী আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে 10 সদ্যোজাতের ৷ স্বভাবত, এমন ভয়াবহ ঘটনায় স্তম্ভিত হাসপাতালে থাকা বাকি মায়েরা, যাঁরা সদ্য সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ৷ তাঁদের অনেকেই শিশুকে লুকিয়ে রাখছেন ৷ এই হাসপাতালের উপর আর কোনও ভরসা নেই তাঁদের ৷

শুক্রবার রাত 10টা থেকে 10.30 মিনিটের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি মেডিক্যাল কলেজের এনআইসিইউ ওয়ার্ডে আগুন লাগে ৷ আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় কয়েকজনক সদ্যোজাতের ৷ এই শিউরে ওঠার মতো মর্মান্তিক ঘটনা চোখের সামনেই দেখেছেন অনেকে ৷ এরপর মায়েরা তাঁদের শিশুকে এই হাসপাতালে রাখতে নারাজ ৷ যদি আবার এমন কিছু হয় ! সে কথা ভেবেই আতঙ্কিত বাবা-মায়েরা ৷

তাই দেখা গেল, হাসপাতাল চত্বরে কম্বলের মধ্যে লুকিয়ে সদ্যোজাতকে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ৷ কোনওভাবেই এই ঝাঁসি মেডিক্যাল কলেজে তাঁরা তাঁদের সন্তানকে রাখবেন না ৷ তেমনই দাবি করছেন তাঁরা। এঁদের একজন বাবলি ৷ তিনি হামিরপুর জেলার রথ শহরের বাসিন্দা ৷ ইটিভি ভারতকে তিনি জানান, ঘটনার সময় তাঁর সদ্যোজাতকে স্তন্যপান করাচ্ছিলেন ৷ হঠাৎ চারদিক থেকে হইচই শুরু হয় ৷ একজন নার্সের গায়ে আগুন লেগে গিয়েছিল ৷ তিনি ওই অবস্থায় দৌড়তে দৌড়তে বাবলিকে চিৎকার করে বলতে থাকেন, "এখুনি আপনি এখান থেকে চলে যান ৷" পরে ওই নার্স নিজের পোশাক খুলে কোনওভাবে প্রাণে বাঁচেন ৷

এদিকে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল ৷ বাবলি তাঁর তিন দিনের শিশুকে কোলে নিয়ে চিৎকার করে স্বামীকে ডাকতে থাকেন ৷ ওয়ার্ডের বাইরে বেরনোর জন্য ছুটতে থাকেন ৷ সৌভাগ্যবশত তিনি তাঁর সন্তানকে বাঁচাতে পেরেছেন ৷ এরপর হাসপাতাল চত্বরে চোখের সামনেই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হন তাঁরা ৷ চোখের সামনে পুড়ে মৃত্যু হয় সদ্যোজাতদের ৷ স্ট্রেচারে করে তাদের দেহ বের করে আনা হচ্ছিল ৷ বেশ কয়েকটি দেহ একেবারে ঝলসে গিয়েছিল ৷ তারপর থেকে বাবলি নিজেকে শিশুকে কম্বলের তলায় লুকিয়ে রেখেছেন ৷

অনেকেই হাসপাতালের বাইরে তাঁদের সদ্যোজাতের সন্ধানে অপেক্ষা করছেন ৷ এই ভয়াবহ আগুনে তাঁদের সদ্যোজাত কেমন রয়েছে, আদৌ বেঁচে আছে কি না, তা জানতে পারেননি তাঁরা ৷

ললিতপুরের বাসিন্দা সঞ্জনা সোনির প্রথম সন্তানের চিকিৎসা যেখানে হচ্ছিল, সেখানেই আগুন লাগে ৷ ভয়ঙ্কর রাতের কথা মনে করে তিনি জানালেন, তাঁর ছেলে জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ৷ সদ্যোজাতের অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল ৷ সঞ্জনা তাঁর সদ্যোজাত ছেলেকে খাওয়ানোর জন্য যাচ্ছিলেন, তখন দেখেন একজন ডাক্তারের পায়ে আগুন ধরে গিয়েছে ৷ সবাই চিৎকার করছে ৷ প্রায় 15 জন সদ্যোজাতকে বের করে আনা হয় ৷ কিন্তু সঞ্জনার সন্তান কোথায়, তা তিনি জানেন না ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.