ETV Bharat / state

দীর্ঘদিন স্কুলে আসছেন না প্রধান শিক্ষক, বন্ধ রয়েছে মিড-ডে মিল - BAGDAH SCHOOL CLOSED MID DAY MEALS

প্রতিদিন গড়ে প্রায় 150 জন পড়ুয়া মিড-ডে মিলের খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ আগামী সপ্তাহে সমস্য়ার সমাধান হবে বলে আশা করছেন বিডিও।

BAGDAH SCHOOL CLOSED MID DAY MEALS
বন্ধ রয়েছে মিড-ডে মিল (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 16, 2024, 8:55 PM IST

বাগদা, 16 নভেম্বর: দীর্ঘ দিন স্কুলে আসছেন না প্রধান শিক্ষক। মিড-ডে-মিলের টাকা দিতেও অসহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ। আর তার জেরে গত চারদিন ধরে স্কুলে বন্ধ রান্না। ফলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় 150 জন পড়ুয়া মিড-ডে-মিল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এই ঘটনা উত্তর 24 পরগনার বাগদার কনিয়াড়া যাদবচন্দ্র হাইস্কুলের। সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বিডিও। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের ক্ষোভের মুখে পড়ে প্রায় এক বছর ধরে স্কুলে আসছেন না কনিয়াড়া যাদবচন্দ্র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অনুপম সর্দার। বর্তমানে স্কুলের মিড-ডে-মিলের দায়িত্ব রয়েছেন সহকারি প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ মণ্ডল।

বন্ধ রয়েছে মিড-ডে মিল (ইটিভি ভারত)

তাঁর দাবি, "স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘ দিন স্কুলে আসেন না। মিড-ডে-মিলের টাকা প্রধান শিক্ষকের অ্যাকাউন্টে আসে। তাঁর কাছ থেকে বারবার চেয়ে টাকা নিতে হয়। সঠিক সময়ে টাকা না দেওয়ার কারণে বাজার ও জ্বালানির টাকা বাকি পড়ে গিয়েছে। ফলে মিড-ডে মিল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা মিড-ডে-মিলের খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।" বিষয়টি তিনি বাগদার বিডিও ও অন্য আধিকারিকদের কাছে লিখিতভাবেও জানিয়েছেন।

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক অনুপম সর্দার। তিনি জানান, স্কুলের কিছু শিক্ষক এবং পরিচালন সমিতির কয়েকজন মিলে মিড-ডে মিলের টাকা আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলেন ৷ তিনি সেটা হতে না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে চক্রান্ত করা হয়েছে। ফলে তিনি প্রায় এক বছর স্কুলে যেতে পারেন না। মিড-ডে-মিলের টাকা প্রতিমাসেই দিয়ে দেন। এখন তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

তবে সহকারি প্রধান শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের মাঝে সাধারণ পড়ুয়ারা মিড-ডে-মিল থেকে বঞ্চিত হয়ে সমস্যায় পড়েছে। ঘটনায় বাগদার বিডিও প্রসূন প্রামাণিক বলেন, "মিড-ডে-মিল সরকারি প্রকল্প ৷ এটা এরকমভাবে বন্ধ থাকতে পারে না। বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। স্কুলের ডিআই-কে এই বিষয়ে জানিয়েছেন এসআই। আগামী সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে একটি বৈঠক করে এই বিষয়ে সমাধান করা হবে।"

বাগদা, 16 নভেম্বর: দীর্ঘ দিন স্কুলে আসছেন না প্রধান শিক্ষক। মিড-ডে-মিলের টাকা দিতেও অসহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ। আর তার জেরে গত চারদিন ধরে স্কুলে বন্ধ রান্না। ফলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় 150 জন পড়ুয়া মিড-ডে-মিল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এই ঘটনা উত্তর 24 পরগনার বাগদার কনিয়াড়া যাদবচন্দ্র হাইস্কুলের। সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বিডিও। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের ক্ষোভের মুখে পড়ে প্রায় এক বছর ধরে স্কুলে আসছেন না কনিয়াড়া যাদবচন্দ্র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অনুপম সর্দার। বর্তমানে স্কুলের মিড-ডে-মিলের দায়িত্ব রয়েছেন সহকারি প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ মণ্ডল।

বন্ধ রয়েছে মিড-ডে মিল (ইটিভি ভারত)

তাঁর দাবি, "স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘ দিন স্কুলে আসেন না। মিড-ডে-মিলের টাকা প্রধান শিক্ষকের অ্যাকাউন্টে আসে। তাঁর কাছ থেকে বারবার চেয়ে টাকা নিতে হয়। সঠিক সময়ে টাকা না দেওয়ার কারণে বাজার ও জ্বালানির টাকা বাকি পড়ে গিয়েছে। ফলে মিড-ডে মিল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা মিড-ডে-মিলের খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।" বিষয়টি তিনি বাগদার বিডিও ও অন্য আধিকারিকদের কাছে লিখিতভাবেও জানিয়েছেন।

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক অনুপম সর্দার। তিনি জানান, স্কুলের কিছু শিক্ষক এবং পরিচালন সমিতির কয়েকজন মিলে মিড-ডে মিলের টাকা আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলেন ৷ তিনি সেটা হতে না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে চক্রান্ত করা হয়েছে। ফলে তিনি প্রায় এক বছর স্কুলে যেতে পারেন না। মিড-ডে-মিলের টাকা প্রতিমাসেই দিয়ে দেন। এখন তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

তবে সহকারি প্রধান শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের মাঝে সাধারণ পড়ুয়ারা মিড-ডে-মিল থেকে বঞ্চিত হয়ে সমস্যায় পড়েছে। ঘটনায় বাগদার বিডিও প্রসূন প্রামাণিক বলেন, "মিড-ডে-মিল সরকারি প্রকল্প ৷ এটা এরকমভাবে বন্ধ থাকতে পারে না। বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। স্কুলের ডিআই-কে এই বিষয়ে জানিয়েছেন এসআই। আগামী সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে একটি বৈঠক করে এই বিষয়ে সমাধান করা হবে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.