মথুরাপুর, 30 মার্চ: "মেঘের আড়াল থেকে লড়াই করে লাভ নেই। আমি বলব, রাজ্যের যে 4 আসনে বিজেপি প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না সেখানে ইডি, সিবিআই, এনআইএ এবং ইনকাম ট্যাক্সের ডিরেক্টরকে প্রার্থী করা হোক। ওঁরা বিজেপির তল্পিবাহকের ভূমিকা পালন করেছেন। মেঘের আড়াল থেকে মেঘনাদের মতো লড়াই না করে আসুন জনতার দরবারে।" শনিবার মথুরাপুর থেকে এভাবেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং বিজেপিকে এক সূত্রে বেঁধে নিশানা করলেন অভিষেক। তবে তৃণমূলের এই বিদায়ী সাংসদের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যে দুটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই প্রার্থী পদ ঘোষণা শুরু হলেও বাস্তবিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এখনও এরাজ্যের কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। এর মধ্যে অবশ্যই রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার। ইতি-উতি করে অনেক নাম শোনা গেলেও এখনও পর্যন্ত গেরুয়া শিবির সেভাবে ঘর গুছিয়ে উঠতে পারেনি অভিষেকের কেন্দ্রে, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের ৷ আর বিজেপির এই দুর্বলতাকেই আক্রমণের অস্ত্র ধরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তথা ইডি, সিবিআই, এনআইএ ও ইনকাম ট্যাক্সকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে বিরোধী শিবির ৷ এই চার তদন্তকারী সংস্থার পিছনে রয়েছে বিজেপি ৷ এদিন মথুরাপুরের কর্মিসভা থেকে ইডি, সিবিআই, এনআইএ এবং ইনকাম ট্যাক্সের ডিরেক্টরকে ভোটে লড়ার ডাক দিলেন ৷
এদিন মথুরাপুরের কর্মিসভায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দিলীপ জাতুয়া। এছাড়াও রায়দিঘি বিধানসভার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব শান্তনু বাপুলি-সহ একাধিক বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। এই কর্মিসভা থেকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান যা ছিল সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে হবে ৷ এমনটাই কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা হচ্ছে ৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কারও কাছে মাথা নত করেন না ৷ কেন্দ্রের কাছে আমরা মেরুদন্ড বিক্রি করব না ৷ মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে বিজেপি নেতারা কটাক্ষ করেন। তাঁদের মতে, এভাবে বাংলার মানুষকে হাজার টাকা করে ভিক্ষা দেওয়া হচ্ছে ৷ সেই কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে আমি বলছি যদি বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যের মানুষকে তাঁরা দেড় হাজার টাকা করে তারা দেন তাহলে আমি রাজনৈতিক আঙিনায় আর পা দেব না।"
আরও পড়ুন: