রামপুর, 16 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি যেতে গিয়ে রামপুরের কাছে বাধা পেল বিজেপির 6 সদস্যের উচ্চস্তরীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি ৷ রাস্তাতেই বসে পড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকা বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল ৷ শুক্রবার সকালে বিজেপির এই উচ্চস্তরীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম কলকাতা থেকে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ৷ কিন্তু
দক্ষিণ আসানসোলের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, "এতে পরিষ্কার বোঝা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার কতটা ভয় পেয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সন্দেশখালি যেতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ 144 ধারা জারি করে রেখেছে ৷ আমরা বললাম, 5 জন সদস্য যাব, কিন্তু আমাদের যেতে দিল না ৷ তারপর আমরা বললাম, শুধু 2 জন মন্ত্রীকে যেতে দেওয়া হোক ৷ তাও পুলিশ অনুমতি দিল না ৷ পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেওয়া দেওয়া হয়েছে, বিজেপির প্রতিনিধি দল এলে তাদের যেন সন্দেশখালি যেতে দেওয়া না-হয় ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন কী হচ্ছে ৷ পশ্চিমবঙ্গ জ্বলছে ৷" গতকাল এখানেই আটকে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও ৷
সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর শারীরিক নির্যাতন, যৌন হেনস্তা, অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ এর তদন্তে ছ'জন সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল গঠন করেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা ৷ এই দলে রয়েছেন- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সাংসদ সুনীতা দুগ্গল, সাংসদ কবিতা পাতিদার, বিজেপি সাংসদ সঙ্গীতা যাদব ও রাজ্যসভা সাংসদ বৃজলাল ৷
এই প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী বলেন, "আমরা নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি ৷ তারা যাতে ন্যায়বিচার পায় ৷ আজ (সন্দেশখালি) যাওয়ার পথে আমাদের আটকানোর জন্য পুলিশ এখানে দাঁড়িয়ে ছিল ৷ শেখ শাহজাহান এবং তার গুন্ডাদের গ্রেফতার করতে যদি পুলিশ এত সক্রিয়তা দেখাতে পারত, তাহলে এই অবস্থাটা হত না ৷"
আজ সন্দেশখালি গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে সেখানে মহিলাদের উপর কী ধরনের নিপীড়ন এবং অত্যাচার হয়েছে, সেই সব বিষয়গুলি রেকর্ড করার কথা ছিল এই কমিটির ৷ সন্দেশখালির তদন্তে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা এই উচ্চস্তরীয় কমিটি গঠন করেছেন ৷ দ্রুত এই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো কথা ৷
আরও পড়ুন: