জলপাইগুড়ি, 30 অক্টোবর: জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যোন এলাকায় বন্যপ্রাণীর চামড়া-সহ তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হল ৷ ওই তিন পাচারকারী অসমের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে ৷ মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে হগ ডিয়ার ও প্যাঙ্গোলিনের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে ৷ একটি বিলাসবহুল গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, পুজোর পর থেকেই বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের খবর ছিল বন বিভাগের কাছে ৷ সেই কারণে হাই অ্য়ালার্ট জারি করা হয়েছিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও তার আশেপাশের অঞ্চলে ৷ তারপর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অ্যান্টি পোচিং স্কোয়াড ও স্নিফার ডগ দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল ৷ সেই সঙ্গে হাতি নিয়ে স্পেশাল পেট্রোলিং চালানো হয় বন দফতরের তরফে ৷ বিভিন্ন সূত্রকে কাজে লাগানো হয় ৷
তেমনই একটি সূত্র মারফত খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে অভিযানে নামে বন বিভাগের কর্মীরা ৷ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় নাকা তল্লাশি শুরু করেন বন বিভাগের আধিকারিকরা ৷ তল্লাশির সময় একটি বিলাসবহুল গাড়িকে আটকানো হয় ৷ সেই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে হগ ডিয়ার এবং প্যাঙ্গোলিনের চামড়া উদ্ধার করে বন বিভাগ ৷ আটক করা হয় গাড়িতে থাকা তিন পাচারকারীকে ৷
জিজ্ঞাসাবাদে বন বিভাগের আধিকারিকরা জানতে পারেন, তিন পাচারকারী অসমের বাসিন্দা ৷ ধৃত স্বপন রায় ও পাপাই সাহার বাড়ি অসমের ধুবড়ি জেলার বিলাসপুরে ৷ অন্য একজনের নাম শান্ত রংদার ৷ তাঁর বাড়ি অসমের গোয়ালপাড়া জেলায় ৷ এই পাচারের পিছনে কারা জড়িত, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে বন বিভাগ ৷ পাশাপাশি, বন্যপ্রাণীর চামড়া কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷
জলদাপাড়া বন্যপ্রাণ বিভাগের বিভাগীয় বনাধিকারিক প্রবীণ কাশোয়ান বলেন, "গোপনীয় সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালানো হয় ৷ একটি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে সেই তল্লাশিতে ৷ তিনজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি ৷ তাঁরা সবাই অসমের বাসিন্দা ৷ ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে হগ ডিয়ার ও প্যাঙ্গোলিনের চামড়া ৷’’