রঘুনাথগঞ্জ, 25 ফেব্রুয়ারি: দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে ধাক্কা মেরে উলটে গেল ডাম্পার । ঘটনায় মৃত ডাম্পার চালক ও খালাসি । রবিবার ভোর নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের 34 নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রঘুনাথগঞ্জ থানার উমরপুরে । মৃতদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি । পুলিশ তাদের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করছে । কুয়াশার কারণেই দৃশ্যমানতা কম হওয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশের অনুমান । চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে ৷ ঘটনার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়কের আপ লেন । পুলিশের তৎপরতায় এক ঘণ্টা পর দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি সরিয়ে জাতীয় সড়ক যানজট মুক্ত করা হয় ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাম্পারটি বহরমপুরের দিক ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল । সেই সময় রঘুনাথগঞ্জ থানার উমরপুর 34 নম্বর জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা লরিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে ডাম্পারটি । ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয় ডাম্পার চালক ও খালাসির । দু'জনেই গাড়ির ভিতর আটকে পড়েছিলেন । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ । গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়ির দরজা কেটে দু'জনকে উদ্ধার করা হয় । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অজ্ঞাত পরিচয় ওই দুই যুবকের । তাদের বয়স আনুমানিক 35-40 বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দূরপাল্লার পণ্যবাহী লরি নিয়মের তোয়াক্কা না করে বরাবরই জাতীয় সড়কের ধার ঘেঁষে দাঁড়ায় । গাড়ির একদিকের চাকা জাতীয় সড়কেই থাকে । যার ফলে জাতীয় সড়ক অনেকটা সংকীর্ণ হয়ে পড়ে । স্থানীয়দের দাবি, বেআইনি পার্কিং করার ফলে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে । বিশেষ করে শীতের সময় কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় আকছার দুর্ঘটনা ঘটে ।
তার উপর শনিবার সন্ধ্যা থেকে মুর্শিদাবাদে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে । ভোর রাতে কুয়াশার দাপটও ছিল । কুয়াশার কারণেই দাঁড়িয়ে থাকা লরিটি ডাম্পার চালকের নজরে আসেনি বলেই মনে করা হচ্ছে । যার ফলে সজোরে লরির পিছনে ধাক্কা মেরে উলটে যায় ডাম্পারটি । দুমড়ে মুচড়ে তার তলায় চাপা পড়েন চালক ও খালাসি । চালকের কেবিন কেটেই দু'জনকে উদ্ধার করা হয় । তাদের জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন । প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দু'জনেরই বাড়ি নদিয়া জেলায় । তবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি ।
আরও পড়ুন :