প্যারিস, 7 অগস্ট: মঙ্গলবার তিন-তিনটি বাউটের মাঝে যাতে ডিহাইড্রেশনের সমস্য়া না-হয় সেজন্য সামান্য জল খেয়েছিলেন ভিনেশ ফোগত ৷ আর এর ফলে বাউটের পর দেখা যায় ভারতীয় কুস্তিগীরের ওজন কিছুটা বেড়ে গিয়েছে ৷ কোচের নির্দেশে নিয়ম মেনে শুরু হয় ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়া ৷ সারারাত সবরকম প্রচেষ্টার পরও বুধবার সকালে ওজন মাপার সময় দেখা যায় নির্ধারিত 50 কেজির তুলনায় 100 গ্রাম বেশি ওজন রয়েছে ভিনেশের ৷ এই প্রথমবার নয়, আগেও এই সকল প্রক্রিয়া মেনেই বেড়ে যাওয়া ওজন কমিয়েছিলেন ভিনেশ ৷ কিন্তু ব্যর্থ হলেন এবারই ৷ এমনটাই জানালেন অলিম্পিক্সে ভারতের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডঃ দিনশ পারদিওয়ালা ৷
ঠিক কী কী ভাবে চেষ্টা হয়েছিল ভিনেশের ওজন কমানোর ৷ ডঃ পারদিওয়ালা জানান, সমস্ত পদ্ধতি অবলম্বন করার চেষ্টা হয়েছে ৷ এমনকী বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছিল এক্ষেত্রে ৷ চিফ মেডিক্যাল অফিসারের কথায়, "আমরা বেশ কিছু কঠিন পন্থা অবলম্বন করেছি ওজন কমাতে ৷ ওর চুল কেটে, পরনে জামা-কাপড়ের সংখ্যা কমিয়েও চেষ্টা করা হয়েছে ৷ কিন্তু সব ব্যর্থ হয়েছে ৷"
সারারাত সমস্ত প্রচেষ্টার পরেও যখন 'বাতিল' ঘোষণা করা হয়, তারপর ভিনেশের শরীরে কিছু রক্তপরীক্ষার প্রয়োজন ছিল ৷ ডিহাইড্রেশন এড়াতে ভারতীয় কুস্তিগীরকে কিছু ফ্লুইড দেওয়া হয় ৷ রক্তপরীক্ষার জন্য ভিনেশকে যে স্থানীয় অলিম্পিক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তাও জানান দিনশ পারদিওয়ালা ৷ এই সমস্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন ভিনেশ যে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন, তাও নিশ্চিত করেছেন চিফ মেডিক্যাল অফিসার ৷
এমনকী বাতিল ঘোষণায় পদকের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়ে ভিনেশ যে স্বভাবতই হতাশ, তাও জানিয়েছেন চিফ মেডিক্যাল অফিসার ৷ তিনি বলেন, "ভিনেশ আইওএ সভাপতি পিটি ঊষার সঙ্গে ঘটনার পর কথাও বলেছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, শারীরিকভাবে এবং বিভিন্ন মেডিক্যাল পরীক্ষায় সুস্থ থাকার পরেও তৃতীয় অলিম্পিক্সে তাঁকে এভাবে বেরিয়ে যেতে হল ৷"