লিগজিগ, 21 জুন: শনিবার লিপজিগের রেড বুল এরিনায় মুখোমুখি হচ্ছে নেদারল্যান্ডও ও ফ্রান্স ৷ এখনও পর্যন্ত একটি করে ম্যাচ জিতেছে দুই দল ৷ এই ম্যাচে যে জিতবে সে 6 পয়েন্টে পৌঁছে যাবে ৷ অর্থাৎ শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিৎ হয়ে যাবে ৷ এখনও পর্যন্ত জার্মানি ও স্পেন নক-আউটে পৌঁছেছে ৷ ফলে মেগা ম্যাচে জিতলেই তৃতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোয় পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে ৷
24 বছর ইউরো না-জেতার আক্ষেপ ঘোচাতে এবার এমবাপের কাঁধেই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সঁপেছেন কোচ দিদিয়ের দেঁশ ৷ 2000 সালে শেষবার ফ্রান্সের ইউরো চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক ছিলেন যিনি ৷ অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই নাক ফেটেছে কিলিয়ান এমবাপের ৷ অবস্থা এমনই যে অস্ত্রোপচারের পর এবার বিশেষভাবে তৈরি মাস্ক পরেই বাকি টুর্নামেন্ট খেলবেন ফরাসি তারকা ৷
অন্যদিকে, ডাচদের ভরসা ভার্জিল ভ্যান ডাইক ৷ লিভারপুল তারকাকে টপকে তাদের জালে বল জড়ানোটা কার্যত অসাধ্যসাধনের সমান ৷ দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন ডাইকও ৷ ফলে লড়াইটা মূলত নেদারল্যান্ডস ডিফেন্স বনাম অলিভিয়ের জিরু, কিলিয়ান এমবাপে সমৃদ্ধ ফ্রান্স অ্যাটাকিং লাইনআপের ৷ ইংল্যান্ডের জিওফ্রে চার্লস হার্স্টের পর বিশ্বকাপ ফাইনালে তিনবার বিপক্ষের জালে বল জড়ানোর নজির একমাত্র এমবাপেরই রয়েছে ৷ যদিও নজির গড়েও দলকে বিশ্বসেরা করতে পারেননি ৷ এখনও পর্যন্ত দু’বার ইউরো ঘরে তুললেও 2000 সালের পর ইউরো আসেনি ফ্রান্সে ৷ ফলে দুই জ্বালা জোরানোরই সুযোগ রয়েছে ‘দ্য ব্লু’জদের কাছে ৷ অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডস ইউরো জিতেছে একবার ৷ তাদের কাছেও সেই সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে ৷
আরেক ম্যাচে অলিম্পিয়া স্ট্যাডিয়নে মুখোমুখি হবে পোল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া ৷ প্রথম ম্যাচে হারার পর খাতা খোলার সুযোগ রয়েছে দু’দলের সামনেই ৷