ব্য়ারাকপুর, 5 সেপ্টেম্বর: সুপার সিক্সের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছিল আগেই ৷ কলকাতা লিগে বৃহস্পতিবার কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে ম্য়াচ তাই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে ছিল নিয়মরক্ষার ৷ সেই ম্য়াচেও হেরে বসল সবুজ-মেরুন ৷ কালীঘাটের ক্লাবটির কর্ণধার বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ যিনি আবার মোহনবাগানের ফুটবল সচিবও বটে ৷ ফুটবল সচিবের দলের কাছে এদিন 1-2 গোলে হারল ডেগি কার্ডোজা, যে দল দিনকয়ের আগেই লখনউয়ে সিএম কাপ জিতেছে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ৷
সুপার সিক্স হাতছাড়া হলেও বাকি দু'টো ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে সম্মানজনক জায়গায় শেষ করতে পারত সবুজ-মেরুন। বৃহস্পতিবার হারের পর সেটাও সম্ভব নয় বলে মনে হচ্ছে ৷ ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে এদিন জহর দাসের দলের হয়ে গোল খঙ্গম হোরাম এবং সৈকত সরকারের। পেনাল্টি থেকে গোল মোহনবাগানের আদিল আবদুল্লার। সবুজ-মেরুনের গ্রুপ থেকে সুপার সিক্সে পৌঁছে গিয়েছে ভবানীপুর, ইস্টবেঙ্গল এবং কাস্টমস।
পরের পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা না-থাকায় ফুটবলারদের মোটিভেট করা কঠিন ছিল কার্ডোজার পক্ষে। হয়তো তিনি পারেনওনি ৷ তাই প্রথম থেকেই ছন্নছাড়া ফুটবলে ম্যাচের রাশ তারা তুলে দিয়েছিল কালীঘাটের ক্লাবটির পায়ে। ফলে একের পর এক আক্রমণে সবুজ-মেরুন রক্ষণ অস্বস্তিতে পড়ে। গোলরক্ষক অভিষেক বালোওয়ারি দু'টি ক্ষেত্রে ত্রাতা না-হলে বিরতির আগে মোহনবাগান একাধিক গোলে পিছিয়ে পড়ত। শেষ পর্যন্ত কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশন এগিয়ে যায় খঙ্গম হোরামের গোল।
পালটা তেড়েফুড়ে আক্রমণে গোলের রাস্তা তৈরি করতে ব্য়র্থ এংসন, সন্দীপ, সালাউদ্দিনরা ৷ বিরতির পরে যদিও সমতায় ফেরে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। পেনাল্টি থেকে গোল আদিল আবদুল্লার। তবে সমতায় ফিরেও ছন্নছাড়া ফুটবলের ছবি বদলায়নি। বরং সময় যত গড়িয়েছে কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স জয়ের গোল তুলে নিতে মরিয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত 71 মিনিটে বক্সের মাথা থেকে পরিবর্ত সৈকত রায়ের জোরালো শট জহর দাসের ছেলেদের কাঙ্খিত জয় এনে এসে দেয়।