কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: দশ ম্যাচ পরে জয়রথ আটকালো ইস্টবেঙ্গলের । কলকাতা সুপার ডিভিশন লিগে সুপার সিক্সের ডার্বি 2-2 গোলে ড্র । 15 ম্যাচে 41 পয়েন্টে থমকে গেল ইস্টবেঙ্গল । মহমেডান স্পোর্টিং সমসংখ্যক ম্যাচে 23 পয়েন্টে দাঁড়িয়ে । ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জোড়া গোল জেসিন টিকের । মহমেডান স্পোর্টিংয়ের গোলদাতা বামিয়া সামাদ এবং রবিনসন সিং ।
ব্যর্থ মহমেডানের মরিয়া লড়াই ৷ কলকাতা লিগ খেতাবের দোরগোড়ায় লাল-হলুদ ব্রিগেড । বাকি দু’টি ম্যাচ থেকে 3 পয়েন্ট পেলেই খেতাব পকেটে পুরে ফেলবে বিনো জর্জের ছেলেরা । গত দশটি ম্যাচে যে ধারাবাহিক ভালো ফুটবল লাল-হলুদ ফুটবলাররা খেলছিলেন, তা শুক্রবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে বজায় রাখতে পারলে ইস্টবেঙ্গল হয়তো জিতেও মাঠ ছাড়তে পারত ।
কিন্তু এদিন নিখুঁত পাসের ফুলঝুরি নয়, মিস পাসের প্রদর্শনীতে লাল-হলুদের ফুটবল ছন্নছাড়া । অন্যদিকে খেতাবি দৌড়ে না-থাকলেও সম্মানের ম্যাচে মরিয়া ফুটবল মেলে ধরল ‘ব্ল্যাক প্যান্থার্স’ । লাল-হলুদ ফুটবলাররা বল ধরলেই ডাবল কভারিংয়ে বল কাড়ার চেষ্টা এবং প্রতিআক্রমণ । তারই ফসল 21 মিনিটে জসেফের পাস থেকে বামিয়া সামাদের গোল । পুরো ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়েছিল । পিছিয়ে পড়ার ধাক্কায় ফিরে আসার মরিয়া চেষ্টা দেখা যায়নি । বদলে যত সময় গড়িয়েছে, ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা প্রতিপক্ষ মহমেডানন ফুটবলারদের পাতা ফাঁদে ধরা দিয়েছেন ।
যশ, সুজিত, লালসাঙ্গারা কার্যত পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তুলে নিয়েছিলেন । 40 মিনিটে জেসিন টিকে দলকে সমতায় ফেরান । পিভি বিষ্ণুর বাড়ানো বল তন্ময় দাস শট নিলে তা জেসিন টিকের পায়ে লেগে জালে চলে যায় । বিরতির পরেও একই ছবি । ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মহমেডানের পায়ে । এই সময় লালথান কিমা এবং ইসরাফিল দেওয়ানকে মাঠে নামান মহমেডান কোচ হাকিম সেগেন্ডো । 51 মিনিটে ফের গোল মহমেডান স্পোর্টিংয়ের । এবার গোল রবিনসন সিংয়ের ।
এরপর একের পর এক আক্রমণে ইস্টবেঙ্গল দিশেহারা । কোনওরকমে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের আক্রমণ থামাচ্ছিলেন লাল-হলুদ ডিফেন্ডাররা । হারের আতঙ্ক যখন গ্যালারিতে জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে, তখনই জেসিন টিকের ম্যাজিক । 71 মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি । চলতি লিগে 14টি গোল করে ফেললেন । ধারাবাহিক ভালো ফুটবলের পরে ছন্দহীন প্রদর্শন । বিনো জর্জ বলছেন, টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তি কারণ । পাশাপাশি একই ছন্দে খেলে যাওয়া সম্ভব হয় না । একটা খারাপ দিন হিসেবেই মহমেডান ম্যাচকে দেখছেন । তবে লিগ খেতাব জয় কঠিন হল বলে মনে করেন না । বরং বাকি দু’টো ম্যাচ জিতে খেতাব ঘরে তোলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী । অন্যদিকে মহমেডান কোচ বলছেন, তাঁরা জিততে চেয়েছিলেন । তরুণ দল লড়াই করেছে । এটাই প্রাপ্তি ।