কলকাতা, 15 অগস্ট: ঘরের মাঠে বিদেশিহীন দলের বিরুদ্ধে পরাজয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-র পরবর্তী পর্বে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া ইস্টবেঙ্গলের । হারের পর সমর্থকদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন কার্লেস কুয়াদ্রাত । এবার নজর এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে । তবে তার আগে ফোকাস ডুরান্ড ডার্বি । ইতিমধ্যে হারের ধাক্কা কাটিয়ে ডার্বির ছক কষা শুরু হয়ে গিয়েছে লাল হলুদের অন্দরমহলে । বৃহস্পতিবার পুরো দলকে রিকভারি সেশন করিয়ে ছুটি দেওয়া হয়েছিল । শুক্র এবং শনিবার নিজেদের ঝালিয়ে নিয়ে ডার্বিতে নামতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল এফসি ।
এএফসি কাপে খেলায় ঘরের মাঠের সুবিধা না নিতে পারায় হতাশ নন্দকুমার । তবে তার দাবি, এই হারের প্রভাব ডার্বিতে পড়বে না । নন্দকুমার বলেছেন, "ডার্বি সম্পূর্ণ ভিন্ন ম্যাচ । এই ম্যাচের প্রভাব রবিবার পড়বে না । আমরা জেতার জন্যই মাঠে নামব ।" গতবছর ডার্বি থেকেই উত্থান হয় নন্দকুমারের । তাঁর গোলেই ডার্বি জয়ের খরা কাটিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল । নন্দকুমার হয়ে উঠেছিলেন লাল হলুদ জনতার চোখের মণি । এবারও সেই ধারাবাহিকতা নন্দকুমার ধরে রাখতে পারেন কিনা সেটাই দেখার । তবে চোট সারিয়ে মাঠে ফিরে নন্দকুমার কিন্তু পুরনো ছন্দে ।
এএফসি কাপের রেফারিং নিয়ে ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার । ক্লেইটন সিলভার গোল বাতিল মানতে পারছেন না শীর্ষকর্তা । তবে দল যে এখনও পুরো তৈরি নয় তা জানিয়ে দিলেন । পাশাপাশি আরও কয়েকজন ভারতীয় ফুটবলারকে ইস্টবেঙ্গল যে নিতে চলেছে তার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন । অ্যালেক্স সাজি আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই লাল হলুদ জার্সি পড়তে চলেছেন বলে খবর । এএফসি কাপের পারফরম্যান্স সাপোর্টারদের মন ভরাতে দল ব্যর্থ তা মানছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত । দলের ফুটবলাররা পুরো ফিট না থাকাতেই সমস্যা বেড়েছিল বলে মানছেন । এর সঙ্গে অনভিজ্ঞতা বাড়তি হিসেবে যোগ হয়েছে । এএফসি কাপে হারলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুতে খেলবে ইস্টবেঙ্গল । সেটাও যথেষ্ট কঠিন প্রতিযোগিতা । এবার তিনি এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে ফোকাস করতে চান ।
ডার্বিতে হারের প্রভাব কি রবিবাসরীয় ডার্বিতে পড়বে ? কারণ, সমর্থকদের পাখির চোখ এবং আশা ডার্বিতে চির প্রতিদ্বন্দীকে পরাজিত করা । লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচ সমর্থকদের মনের কথা জানেন । শুক্র এবং শনিবার বড় ম্যাচের প্রস্তুতিতে ফুটবলারদের শারীরিক অবস্থা দেখেই ডার্বির প্রথম একাদশ তৈরি করার ইঙ্গিত দিয়েছেন কুয়াদ্রাত । বলেছেন, "ডার্বির আগে দুটো সেশন পাব । দেখব ফুটবলাররা কতটা তরতাজা রয়েছে । মন, মেজাজ কেমন আছে । তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব ।"
তবে লাল হলুদ হেডস্যারের চিন্তায় দলের রক্ষণ । তা নিয়ে যে চিন্তা বাড়ছে, সেটা গোপন করছেন না । তিনি মনে করেন আনোয়ার, ইউস্তে যোগ দিলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে । পাশাপাশি হিজাজির চোট কেমন, রাকিপের চোট কতটা গুরুতর তার ওপরই কুয়াদ্রাতের ডার্বির রেসিপি নির্ভর করবে । তবে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং সেই বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী কুয়াদ্রাত ।