রাঁচি, 23 ফেব্রুয়ারি: রাঁচিতে ভারত বনাম ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্টের প্রথমদিনের শুরুটা হয়েছিল আকাশ দীপের রূপকথার মতো অভিষেক দিয়ে ৷ আর শেষটা হল জো রুট (106 রানে অপরাজি) এবং তাঁর নিখুঁত টেস্ট ম্যাচ ইনিংসের হাত ধরে ৷ যদিও এই ইনিংসের অনেক কৃতিত্ব আম্পায়ারদেরও দিতে হবে ৷ আম্পায়ারিংয়ের মান সিএবি-র দ্বিতীয় ডিভিশনের থেকেও খারাপ ছিল মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ ৷ ফলে একটা সময় 114 রানে 5 উইকেট হারিয়ে ফেলা ইংল্যান্ডের স্কোর দিনের শেষে 7 উইকেটে 302 রান ৷
আজ দিনের শুরুতে রাঁচির পিচের পেস ও বাউন্সকে কাজে লাগিয়ে আগুন ঝরান টেস্ট অভিষেক করা আকাশ দীপ ৷ প্রথম স্পেলেই 6 ওভারে 20 রান দিয়ে 3 উইকেট তুলে নেন তিনি ৷ সঙ্গে দুই স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা যথাক্রমে জনি বেয়ারস্টো এবং বেন স্টোকসকে আউট করেন ৷ কিন্তু, দ্বিতীয় সেশনে দারুণভাবে কামব্যাক করে ইংল্যান্ড ৷ বড় ভূমিকা নেন জো রুট এবং বেন ফোকস (47) ৷ বাকি তিন টেস্টের থেকে একেবার অন্যরকম দেখাল এ দিন ইংল্যান্ডের ব্যাটিংকে ৷ পরিস্থিতিকে সম্মান জানিয়ে বিশুদ্ধ টেস্ট ক্রিকেট খেললেন জো রুট ৷ সিরিজে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরিও করলেন (106 রানে অপরাজিত) ৷
যদিও, সঙ্গে সহায় হলেন আম্পায়র রড টাকর ৷ কুলদীপের লেগ স্টাম্পের বাইরে বেরনো বলে ইনসাইড এজ লাগে রুটের ৷ সেই নিশ্চিত আউট দেননি আম্পায়ার ৷ যদিও, এক্ষেত্রে অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং উইকেট-কিপার ধ্রুব জুরেলের ব্যর্থতাও রয়েছে ৷ ধ্রুব জুরেল আউটের আবেদন করেননি ৷ আর উইকেট-কিপারের কথায় অধিনায়ক রোহিত বেঁচে থাকা শেষ রিভিউটিও নেননি ৷ সেই সময় রুট 49 রানে ব্যাট করছিলেন ৷
অন্যদিকে, চা বিরতির পর জাদেজার বলে অলি রবিনসনের লেগ-বিফর আউটের আবেদনও নাকচ করে দেন রড টাকর ৷ একেবার উইকেটের সামনে বলটি রবিনসনের পায়ে লেগেছিল ৷ উল্লেখ্য, জনি বেয়ারস্টোর ক্ষেত্রেও ডিআরএসের সাহায্যে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদল করতে হয় ৷ সেখানেও মিডল-স্টাম্পের সামনে পায়ে লাগা বলে আউটের আবেদন নাকচ করে দেন রড টাকর ৷ দিনের শেষে ভারতের হয়ে একমাত্র ইতিবাচক বলতে আকাশ দীপের 3টি উইকেট ৷ এছাড়া মহম্মদ সিরাজ 2টি, রবিচবন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা একটি উইকেট নিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: