বালুরঘাট, 16 এপ্রিল: রামনবমী নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তাঁর অভিযোগ, এই বছরও পশ্চিমবঙ্গে রামনবমী পালনে বাধা দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ কিন্তু আদালতে সত্যের জয় হয়েছে ৷
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে বিজেপির প্রার্থী দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ তাঁর সমর্থনে মঙ্গলবার সেখানে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেখানে পৌঁছে ভাষণের শুরুতেই রামনবমীর প্রসঙ্গ তোলেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘আগামিকাল (বুধবার) সারা দেশ রামনবমী পালন করবে ৷’’
এর পর তিনি এবারের রামনবমীর বিশেষত্ব উল্লেখ করেন ৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এবার রামনবমী বিশেষ ৷ এটা প্রথম রামনবমী, যখন রামমন্দিরে রামলালা বিরাজমান হয়ে গিয়েছেন ৷’’ তার পরই তিনি রামনবমী ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আক্রমণ করেন ৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি জেনেছি যে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিবারের মতো এবারও এখানে রামনবমী উৎসব আটকানোর পুরো চেষ্টা করেছিল ৷ সবরকম ষড়যন্ত্র করেছিল ৷ কিন্তু জয় সত্যেরই হয় ৷ সেই কারণে আদালত থেকে অনুমতি মিলেছে ৷ আর আগামিকাল পুরো শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে রামনবমীর শোভযাত্রা বের হবে ৷’’ পরে রায়গঞ্জে গিয়েও তিনি একই প্রসঙ্গ তোলেন ৷ অভিযোগ করেন, রামনবমীর মিছিলে যারা হামলা চালায়, তাদের সুরক্ষা দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ৷
প্রধানমন্ত্রী আসলে হাওড়ায় বিশ্বহিন্দু পরিষদের রামনবমীর অনুমতি সংক্রান্ত মামলার প্রসঙ্গ টেনেছেন ৷ পুলিশ-প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্বহিন্দু পরিষদ ৷ রামনবমীর উদযাপনের অনুমতি না দেওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর নির্দেশ বলেন, "মাত্র 200 লোকের শোভাযাত্রা যদি পুলিশ সামাল দিতে না পারে, তাহলে কিছু বলার নেই ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভিড় সামাল দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি ৷"
আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ ছিল, প্রতিটি মানুষের নিজের মত বা ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী অনুষ্ঠান করার ও তাতে যোগ দেওয়ার অধিকার রয়েছে ৷ তাদের সেই কাজে বাধা দেওয়া যায় না ৷ তার পর শোভাযাত্রার অনুমতি দেয় ৷ মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গ টেনেই তৃণমূলের সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন: