মালদা, 30 এপ্রিল: মালাদার সভা থেকে আরও একবার কমিশনকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও একবার কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেন তিনি। এবার তাঁর অভিযোগ মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরির ক্ষেত্রে কমিশনের 'পক্ষপাতমূলক আচরণ' নিয়ে।
শ্রীরূপা মিত্রর স্বামী বিএসএফ কর্তা। এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে মমতা বলেন, "বিজেপি প্রার্থীর স্বামী বিএসএফের কর্তা৷ তাঁর স্ত্রী প্রার্থী হলে তাঁকে নির্বাচন কমিশন সরায় না ৷ আর আমাদের বিধায়ক লাভলির স্বামী এসপি বলে তাঁকে সরিয়ে দিতে হয় ৷ এই বৈমাত্রেয়সুলভ আচরণ কেন? আমি জানতাম, তিনি (বিজেপি প্রার্থীর স্বামী) মালদাতেও চাকরি করতেন ৷ তিনি যে তাঁর স্ত্রীয়ের হয়ে খেলবেন না, তার কোনও গ্যারান্টি আছে?"
এদিন উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের তুলসিহাটার বীরেন্দ্রকুমার মৈত্র উপবাজার সমিতি চত্বরে সভা করেন মমতা। প্রবল গরমের মধ্যেও মমতার সভা ঘিরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত তৃণণমূল নেত্রীও ৷ এদিন তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজও সে কথা বলেছে । এখান থেকেই শ্রীরূপার স্বামীর প্রসঙ্গ তুলে ধরে আক্রমণ করেন মমতা। তবে মালদা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর নাম করে আক্রমণের পথে হাঁটেননি তিনি ৷
ভাষণের একটি অংশে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “আমার পিছনে লাগতে গিয়ে ওদের সভাপতি নিজেই জয় বাংলা বলে ফেলেছেন ৷ তিনি অবশ্য সত্যিটাই বলেছেন ৷ ওটাই বাংলাকে বাঁচাবে, বাংলার জয় হবে ৷” পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “যে টাকাটা প্রচারে খরচ করছেন, সেই টাকা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারতেন । ওষুধের দাম কমাতে পারতেন ৷” তবে এদিন প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বিজেপিকে ‘হারামির দল’ সম্বোধন করে নতুন বিতর্ক উসকে দেন মমতা ৷
আরও পড়ুন: