কলকাতা, 13 মার্চ: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট)-এর বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ আবারও তাঁর দাবি, সিএএ-র সঙ্গে এনআরসি-ও যুক্ত ৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘ওটা (এনআরসি) মাথা, এটা লেজুড় (সিএএ) ৷’’
গত সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিএএ লাগু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ বিজ্ঞপ্তি জারির কিছুক্ষণ আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে বাংলায় এই আইন তিনি লাগু করতে দেবেন না ৷ এর পর তিনি যতবার বক্তব্য দিয়েছেন, ততবারই সিএএ-র প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রের মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন ৷
বুধবার আবারও তিনি এর সমালোচনা করেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ক্যা (সিএএ) এবং এনআরসি নিয়ে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট ৷ আপনারা দেখেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন এটা কিছুই হবে না ৷ আসল নাগরিকত্বও পাবে না ৷ এটা হচ্ছে লোক দেখানো এবং লোক ঠকানো ৷ এটার পিছনেই এনআরসি ৷ ওটা মাথা, এটা লেজুড় ৷ সুতরাং আমরা দু’টোই করতে দেব না ৷’’
এ দিন শিলিগুড়িতে কলকাতায় ফেরার পর বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে এই কথা বলেন তিনি ৷ এই ইস্যুতে তাঁর আরও বক্তব্য, আগে কেউ নাগরিকত্বের আবেদন করলে, জেলাশাসক খতিয়ে দেখে আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন ৷ এতে কোনও অসুবিধা ছিল না ৷ জেলাশাসকের কাছ থেকে ক্ষমতাটা কেড়ে নেওয়া হয় ৷ আমেরিকায় কেউ পাঁচ বছর থাকলেই গ্রিন কার্ড পান ৷ যুক্তরাজ্য-সহ আরও অনেক দেশে পাঁচ বছর বা দশ বছর থাকলেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায় ৷ সেই ব্যবস্থা এখানে করে দিলেই তো ভালো হত ৷
এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, ‘‘এখানে প্রশ্ন আছে ৷ এটা মানুষের জন্য ক্ষতিকারক ৷ আমরা আগেও বলেছি এনআরসি করতে দেব না ৷ ক্যা-এর সঙ্গে এনআরসি যুক্ত ৷ এতে কেউ লাভবান হবে না ৷’’ তিনি অসমে এনআরসি-র প্রসঙ্গ তোলেন ৷ জানান, অসমে এনআরসি করতে গিয়ে 19 লক্ষের নাম বাদ যায় ৷ এর মধ্যে 13 লক্ষ হিন্দু বাঙালি ৷ মমতা বলেন, ‘‘এই নিয়ে আগেই আগুন ছড়িয়েছে ৷ আর আগুন ছড়াতে দেব না ৷ বাংলায় এটা চালু করতে দেব না ৷’’
আরও পড়ুন: