কলকাতা, 15 ফেব্রুয়ারি: কৃষক আন্দোলনের জন্য আপাতত পঞ্জাব সফরে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আজ বিধানসভায় তিনি জানিয়েছেন, তিনি তাঁর পূর্ব নির্ধারিত পঞ্জাব সফর স্থগিত রাখছেন ৷ আগামী 21 ফেব্রুয়ারি তাঁর পঞ্জাব সফরে যাওয়ার কথা ছিল ৷
বিধানসভায় আজ মমতা বলেন, "আমার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে পঞ্জাব যাওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু বর্তমানে কৃষকদের যে বিক্ষোভ চলছে, সে কথা বিবেচনা করে আমি সেই সফর স্থগিত করেছি । আমি এটা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জানিয়েছি । আমি মনে করি, এই মুহূর্তে আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত আমাদের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো ।"
গতকালই জানানো হয় যে, লোকসভা নির্বাচনের আগে পঞ্জাব সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী 21 ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন তাঁর পঞ্জাব যাওয়ার কথা ছিল ।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগেই পঞ্জাবে আম আদমি পার্টি একা লড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে । সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান সে কথাই জানিয়েছেন । এ দিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও জাতীয় ক্ষেত্রে এখনও ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গ না-ছাড়লেও, পশ্চিমবঙ্গে একলা চলো নীতিই নিয়েছেন ৷ এই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও জোটের সম্ভাবনা নেই আপাতত । দুই রাজ্যের রাজনৈতিক আবহ যখন একইরকম সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর পঞ্জাব সফর নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে ৷
জানা গিয়েছিল দু-তিন দিনের জন্য পঞ্জাব সফরে যাবেন মমতা ৷ যে সফরসূচি পাওয়া গিয়েছিল, তাতে 21 ফেব্রুয়ারি দুটি কর্মসূচি ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর । সেগুলি শেষ করে বিকেলের বিমানে অমৃতসর যাওয়ার কথা ছিল তাঁর ৷ ওইদিন বিকেলেই তিনি স্বর্ণমন্দিরেও যাবেন বলে জানা যায় । পরের দিন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী-সহ আপ নেতাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা ছিল ।
তবে গত কয়েকদিন ধরে পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় কৃষকদের আন্দোলন ক্রমে তীব্র হয়েছে ৷ এ রকম একটা সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন দেশের বাইরে আছেন, তা নিয়ে গতকালই প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরই দলের প্রবীণ নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ৷ তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর অগ্রাধিকারগুলি বুঝতে হবে ৷ এই পরিস্থিতিতে আজ মমতা যেভাবে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে নিজের পঞ্জাব সফর স্থগিত রেখে কৃষকদের অগ্রাধিকার দিলেন, সেটাকে মাস্টারস্ট্রোক হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল ৷
আরও পড়ুন: