মালদা, 31 জানুয়ারি: মালদা বরাবর কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল ৷ তাছাড়া বামেদেরও প্রভাব একটা সময় পর্যন্ত সেখানে ছিল ৷ বুধবার মালদায় প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে সেই বাম ও কংগ্রেসকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর অভিযোগ, সিপিএম ও কংগ্রেস বিজেপির হাত শক্ত করার জন্য লড়াই করে ৷ কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা আছে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের রয়েছে ৷
গত রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কোচবিহার থেকে একের পর এক জেলায় সভা করছেন তিনি ৷ বুধবার তিনি রয়েছেন মালদায় ৷ সেখানে পদযাত্রা করেন তিনি ৷ পরে প্রশাসনিক সভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি ৷ সেই সভা থেকে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন তিনি ৷
ওই প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকেই তিনি একসুরে বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমকে নিশানা করেন ৷ মালদায় যে একসময় কংগ্রেস শক্তিশালী ছিল এবং সেই কারণে মালদার মানুষ কংগ্রেসকে বারবার ভোট দিয়েছে, সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে ৷ তিনি জানতে চান, ‘‘পর পর দু’টো সিটে কংগ্রেস জিতেছে ৷ বারবার জিতেছে ৷ আপনাদের জন্য কী করেছে ?’
উল্লেখ্য, মালদার রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রয়াত নেতা বরকত গণি খান চৌধুরীর প্রভাব অপরিসীম ছিল একটা সময় ৷ সেই প্রসঙ্গও এ দিন উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে ৷ তিনি বলেন, ‘‘বরকতদা যখন ছিলেন একটা গৌর ভবন করেছিলেন, সেই গৌরভবনের সিরিয়াস সিচুয়েশন ৷’’
এর পর সরাসরি একসুরে সিপিএম ও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন তিনি ৷ মমতা বলেন, ওরা (কংগ্রেস) সিপিএমের সঙ্গে লড়বে বিজেপির হাত শক্ত করার জন্য ৷’’ তার পর তিনি জানান যে বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই করতে পারে তৃণমূল ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপিকে টাইট দিতে গেলে পলিটিক্যাল ফাইট আমরাই করতে পারব ৷ অন্য কেউ করতে পারবে না ৷’’
এ দিন আরও একাধিক ইস্যুতে মুখ্য়মন্ত্রী আক্রমণ করেন বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে ৷ গঙ্গা ভাঙন রোধে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করে না বলে তিনি অভিযোগ করেন ৷ বিজেপিকে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, ‘‘যারা দেশকে পথ দেখাতে পারে না, তারা অপপ্রচার করে, কুৎসা করে, বড় বড় কথা বলে ৷ যারা পথ দেখায় কাজ করে দেখায় ৷ আমরা কাজ করে দেখাই ৷’’
বিজেপির বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করে দেওয়ার অভিযোগও তিনি করেন ৷ পাশাপাশি বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় ইনার লাইন পারমিট দিতে চাইছে বলে তিনি অভিযোগ করেন ৷ সেই কার্ড যাতে কেউ না নেন, সেই বিষয়ে সাবধানবাণী শোনান তিনি ৷ মমতার অভিযোগ, ওই কার্ড নিলে এনআরসি-তে নাম বাদ চলে যাবে ৷
আরও পড়ুন: