কলকাতা, 14 মার্চ: "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 1984 সালে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে যাদবপুর থেকে হারিয়ে প্রথমবার সাংসদ হয়েছিলেন ৷ বিশাল ব্যাপার ৷ সেই সিট 40 বছর বাদে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে গিফট করেছেন ৷ কোনও ভরসা থেকেই তো নিশ্চয় করেছেন ৷ তাই লড়াই হবে ৷" প্রথমদিন প্রচারে বেরিয়ে এমনই ঝরঝরে আত্মবিশ্বাস যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষের গলায় ৷ যুবনেত্রী বললেন আরও অনেক কথাই ৷ প্রচারে সফরসঙ্গী হয়ে সেসব কথাই শুনল ইটিভি ভারত ৷
গত বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়েছিলেন এই অভিনেত্রী টার্নড রাজনীতিবিদ ৷ তবে বিজেপি'র অগ্নিমিত্রা পলের কাছে হারতে হয়েছিল তাঁকে ৷ বিধানসভায় পরাজিত সায়নী এবার লোকসভায় হাইভোল্টেজ যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী ৷ কতটা কঠিন যাদবপুর? ইটিভি ভারতের প্রশ্নের উত্তর ফের স্ট্রেট ব্যাটে খেললেন সায়নী ৷ বললেন, "যাদবপুর কঠিন নয়, যাদবপুর প্রেস্টিজিয়াস কেন্দ্র ৷ লিগ্যাসিয়ালা কেন্দ্র ৷ যাদবপুর কঠিন কেন হবে? এই কেন্দ্র বারংবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীদের আশীর্বাদ করে এসেছে ৷"
তাহলে লড়াইটা ঠিক কোন জায়গায় ৷ 'অপরাজিত' অভিনেত্রী জানালেন, লড়াইটা কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে নয়, সিপিএম কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও নয় ৷ লড়াইটা বিজেপি'র বিরুদ্ধে ৷ বাংলাকে ক্রমাগত বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই ৷ আর এই লড়াইয়ে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকবে বলেই বিশ্বাস সায়নীর ৷
কথায় কথায় উঠে আসে 'ভবিষ্যতের ভূত' ছবি নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে সায়নীর সরকারের বিরোধিতা করার প্রসঙ্গও ৷ সেই ঘটনার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন বিষয়টা সায়নীকে উদ্বুদ্ধ করেছে ৷ সায়নীর স্পষ্ট উত্তর, "ওনার (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) লড়াই ৷ বৃহত্তর স্বার্থে যখনই দেখেছি গোটা দেশ, বাঙালি জাতি, মহিলা-সকলের শত্রু হচ্ছে বিজেপি ৷ এই সবকিছুর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাই ওনার সঙ্গে তো যেতেই হত ৷"
গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহের মধ্যে সারতে হবে প্রচারকার্য ৷ গরম থেকে বাঁচতে আলাদা কী পন্থা নিচ্ছেন সায়নী? অভিনেত্রী বললেন, "মমতাদি'র দল করি ৷ সুতির শাড়ি পরব, মাথায় একটা ঝুঁটি বাঁধব আর পায়ে হাওয়াই চটি পরে আছি ৷ দৌড়ব, ছুটব, মানুষের কাছে পৌঁছব ৷"
আরও পড়ুন: