মন্তেশ্বর, 9 মে: 'তিন মুখ্যমন্ত্রী জেলে আছেন। দিদিমনি গেলে ক্ষতি কী ! এবার জেলেই হবে পিসি-ভাইপোর পার্টির মিটিং।' বৃহস্পতিবার মন্তেশ্বর বিধানসভায় বিজেপির বুথকর্মী সম্মেলন থেকে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এদিনের সভা থেকে কর্মীদের মাঠে নেমে লড়াই করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিগত নির্বাচনগুলির পরে বিজেপির নেতা-কর্মীদের অবস্থার কথা তুলে ধরে অভয় দিয়ে বলেন, "এবার তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের জেলে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। নির্বাচনের ফল প্রকাশ হলেই নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হবেন ৷ আর সিবিআই-ইডি'র হাত ধরে তৃণমূলের অনেক নেতা-মন্ত্রী জেলে যাবেন।"
এদিন দিলীপ আরও ঘোষ বলেন, "আমরাও জানি কীভাবে কাকে বাড়ি ছাড়া করতে হয়। কেষ্ট বা পার্থবাবু বহু দিন বাড়িছাড়া আছেন ! তার চেয়েও বেশিদিন থাকতে হবে কাউকে কাউকে। স্ত্রী-সন্তানদের মুখ দেখতে পাবেন না। মেয়ের বিয়ের সম্প্রদান করতে পারবেন না। ঘরের এসি কিংবা গাড়ির এসি আর ভোগ করতে হবে না। জেলে গিয়ে মাথায় ইট দিয়ে শুতে হবে। বালিশও পাবেন না। এটা আমার কথা নয় অনেক মন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী জেলে আছেন। খোঁজ নিয়ে দেখুন তাঁরা কেমন আছেন? তাদের 10-12 কিংবা 20 কেজি ওজন কমে গিয়েছে। একবার জ্যোতিপ্রিয়কে ফোন করে জিজ্ঞাসা করুন, তিনি কেমন আছেন। এত মানুষের রেশনের চাল খেয়েছেন। এখন জেলের ভাত খেতে হচ্ছে।"
দিলীপ ঘোষের স্পষ্ট বার্তা, "এটা মোদির রাজত্ব ৷ গরিবের লুঠ করা জিনিস কেউ ভোগ করতে পারবে না এখানে। তাঁর নীতি টাকা গরিবের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া। এখনও অনেক কাজ বাকি আছে। বাড়ি হবে। আর যারা বাড়ির টাকা খেয়েছে তারা জেলে যাবে। কেউ বাঁচবে না। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব জেলে ছিলেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেলে আছেন। ঝাড়খন্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও জেলে আছেন। তাহলে দিদিমণি জেলে গেলে ক্ষতি কী ? শুধু তাই নয়, পিসি আর ভাইপো এবার পার্টির মিটিং জেলেই করবেন। এটা আমি বলছি না। প্রধানমন্ত্রী বলে গিয়েছেন।"
আরও পড়ুন: