কলকাতা, 19 মার্চ: অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এবার সুপ্রিমকোর্টের তত্ত্বাবধানে ভোট চাইল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার সকালে সোশাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে এই মর্মে একটি পোস্ট করেন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন। সেখানেই তিনি এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়ে জানিয়েছেন, দেশের শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে লোকসভা ভোট করানো হোক।
তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র লিখেছেন সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "বিজেপির নোংরা কৌশল নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক সংস্থাকেও ধ্বংস করছে। বিজেপি কি দেশের সাধারণ নাগরিকের মুখোমুখি হতে এতই ভয় পাচ্ছে, যে তারা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মত একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের করায়ত্ত্ব করতে চাইছে !" এর সঙ্গেই তিনি আরও লিখেছেন, "বিরোধীদের টার্গেট করার জন্য তারা নির্বাচন কমিশনকেও তাদের পার্টি অফিসে পরিণত করতে চাইছে।"
তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্রের প্রশ্ন, "যেভাবে নির্বাচিত রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের বদল করা হচ্ছে, তাতে বলতেই হয় বিজেপি কি নির্বাচন কমিশনকেও হিজ মাস্টার্স ভয়েসে রূপান্তরিত করতে চাইছে।" এখানে থামেননি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা। এদিন তিনি সরাসরি দাবি তুলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য 2024 সালের লোকসভা ভোট সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে হোক সেটাই তারা চাইছে। উল্লেখ্য, নির্বাচন ঘোষণার পর একাধিক রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে এ রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমারকে সরিয়ে দিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্রের এই বার্তা থেকে স্পষ্ট, এই সবের পিছনে কার্যত বিজেপির অংগুলি হেলনই দেখছে রাজ্যের শাসক দল। আর সে কারণে 2024-এর লোকসভা নির্বাচন সুপ্রিমকোর্টের নজরদারিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের একাংশ তৃণমূল কংগ্রেসের এই অবস্থানকে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের উপর অনাস্থা হিসেবেই দেখছে। এই অবস্থায় বিজেপি বা অন্য বিরোধীদলগুলি তৃণমূলের এই দাবি নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেয় সেটাই এখন দেখার। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন তৃণমূল কংগ্রেসের এই দাবিকে আদৌ গুরুত্ব দেয় কি না, সেটাও লক্ষনীয়।
আরও পড়ুন
ডিজি বদলে শুরু রাজনৈতিক তরজা, রাজীব কুমারের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তৃণমূলের, কমিশনকে চিঠি সাকেতের