নয়াদিল্লি, 24 নভেম্বর: স্বস্তি এবং অস্বস্তির এক জটিল সমীকরণকে সামন রেখেই লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু করতে চলেছে শাসক এবং বিরোধী পক্ষ। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন । তার আগে রবিবার সর্বদলীয় বৈঠকে সরকার পক্ষ অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে চালাতে বিরোধীদের সাহায্য চেয়েছে। তবে তাতে কাজের কাজ কতটা হবে তা বলা বেশ মুশকিল ।
সূত্রের খবর, গৌতম আদানি এবং তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, ওয়াকফ নিয়ে সরকারের উঠে পড়ে লাগা এবং মণিপুর প্রসঙ্গে 'মোদি সরকারের নিষ্ক্রিয়তা' হাতিয়ার করতে পারে বিরোধী শিবির। আর সেই লক্ষ্যে কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের দফতরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা।
বিরোধী-বৈঠক
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সকাল দশটা নাগাদ শুরু হবে বৈঠক। তাতে ইন্ডিয়া শিবিরের নেতারা থাকবেন। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিও থাকবেন। তবে তৃণমূলের কোনও নেতা বৈঠকে থাকবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনই দলের কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছেন। দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটে তাঁর বাড়িতেই এই বৈঠক হবে। সেখানে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক'ও ব্রায়েনের থাকার কথা।
কী পরিস্থিতিতে অধিবেশন?
সংসদ শুরুর ঠিক আগে দুটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। অতীতের সব রেকর্ডকে ফিকে করে দিয়ে সহযোগী দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে জিতে আসা অবশ্যই বিজেপির কাছে বড় স্বস্তির কারণ। আবার ঝাড়খণ্ডে এনডিএকে বড় ব্যবধানে হারানো ইন্ডিয়া শিবিরকে অবশ্যই স্বস্তি দিয়েছে । উপনির্বাচনেও মোটের উপর ভালো ফল করেছে বিজেপি। কর্ণাটকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর ছেলে পরাজিত হলেও উত্তরপ্রদেশে বেশিরভাগ আসনেই উড়েছে গেরুয়া পতাকা। স্বস্তি আর অস্বস্তি এমন হাত ধরাধরি করে বড় একটা চলে না ।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 25 থেকে 26 ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। নভেম্বর শেষ সপ্তাহ হিসেবে এটা দিল্লির জন্য তেমন চেনা অবস্থা নয়। তাপমাত্রা আরও খানিকটা নামার কথা। তবে শীতের মরশুম একপ্রকার শুরু হয়ে যাওয়া দিল্লিতে শাসক ও বিরোধী শিবিরের তরজা যে প্রবল উষ্ণতা নিয়েই হাজির হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সর্বদলীয় বৈঠকে কী হল?
সর্বদলীয় বৈঠকে উত্তেজনার সেই আভাস মিলেছে। বিরোধী নেতারা আমেরিকায় ওঠা আদানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে চর্চা চান। পাশাপাশি এই বিষয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তবে সরকার যে সহজে বিরোধীদের সব দাবি মেনে নেবে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানিয়েছেন, সংসদের দু'কক্ষে কী কী ব্যাপারে আলোচনা হবে তা দেখবে নির্দিষ্ট কমিটি। তাছাড়া স্পিকার এবং চেয়ারম্যানের অনুমতির ভিত্তিতেই আলোচনা যা হওয়ার তা হবে।