কাকদ্বীপ, 24 নভেম্বর: দুই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল ৷ শনিবার বিকেলে তারা পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ৷ তারপর আর বাড়ি ফেরেনি ৷ দীর্ঘ সময় নিখোঁজ থাকার পর রবিবার দুপুরে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা কাকদ্বীপের রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের দেহ উদ্ধার হল ৷
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই ছাত্রী সুন্দরবনের একটি বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত ৷ তাদের বাড়ি হারুড পয়েন্ট কোস্টাল থানা এলাকায়। গতকাল বিকেলে তারা বাড়িতে জানায় টিউশন পড়তে যাবে ৷ সেই মতো বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ৷ এরপর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি ওই দুই ছাত্রী ৷ এই ঘটনায় তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷
এক ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত দেড়টা নাগাদ পুলিশ এসে তাদের কাছে ছাত্রীর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৷ এরপরই তারা জানতে পারে যে ট্রেন দুর্ঘটনায় ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে ৷ তবে পরিবারের অভিযোগ, ট্রেন দুর্ঘটনা নয় ৷ ওই ছাত্রীকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে ৷
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ৷ মৃতদেহ দু'টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ মৃত এক ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে তাদের মেয়েকে ৷ ছোটবেলা থেকেই সে মামার বাড়িতে থাকত ৷ এখানে থেকেই সে পড়াশোনা করছিল ৷ তবে রেল দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিতভাবে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য দুই ছাত্রীর দেহ রেল লাইনের ধারে ফেলে রেখে গিয়েছে খুনিরা, সেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ ইতিমধ্যে এই ঘটনায় হারুড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ৷