বাস্তুশাস্ত্রে বাড়ির সব ধরনের বিষয় নিয়েও নিয়মের কথা বলা হয়েছে । বাড়ির বাস্তু যদি সঠিক থাকে তাহলে পরিবারের সদস্যদের কোনও চিন্তা থাকে না । জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, বাস্তু সবসময় ঠিক রাখা প্রয়োজন ৷ কারণ বাস্তুত্রুটি দেখা গেলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে । বাড়ির বাস্তু নির্ধারণ করে বাড়িতে পজিটিভ বা নেগেটিভ শক্তি প্রবাহিত হবে ।
বাড়ির সব জিনিসের মধ্যে বাস্তুতে গুরুত্ব বিশেষ রয়েছে ঝাঁটার । ঝাড়ুকে মা লক্ষীর সঙ্গে তুলনা করা হয় ৷ এই কারনেই জ্যোতিষবিদ্যায় ঝাড়ুর প্রধাণ গুরুত্ব রয়েছে ৷ বাড়ির পরিস্থিতি ও দিকনির্দেশ ছাড়াও বাস্তুশাস্ত্রে অন্যধরনের টিপসও বলা হয় ।
রাহুল দে-র মতে, বাস্তু অনুযায়ী ঝাঁটা বা ঝাড়ু জীবনের নানা শুভ ও অশুভ প্রভাব ফেলে । গৃহস্থের পরিবেশ সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে তুলতে সাহায্য করে । তাই ঝাড়ু ঠিকমতো না রাখলে বা সঠিক দিনে কেনা না হলে মা লক্ষী ঘর ছেড়ে চলে যান বলে ধরা হয় ৷
এছাড়াও ঝাড়ুতে কিছু নিয়মের কথা জানান ৷ যেমন- ঝাড়ুতে কখনও পা দেওয়া উচিত নয় ৷ ঝাড়ু দেওয়ার পর কখনও ঝাড়ুকে দাঁড় করিয়ে রাখা উচিত নয় ৷ সূর্য অস্ত যাওয়ার পর ঝাড়ু ব্যবহার করা উচিত নয় ৷ ঝাড়ু এমন এক জায়গায় রাখা ভালো যেটি সহজে আপনি ঘরে ঢুকে বা অন্যকারও চোখে না পড়ে ৷
এছাড়াও জ্যোতিষী জানান, ডাইনিং রুমে ঝাড়ু রাখা উচিত নয় । বিশ্বাস অনুসারে, খাবার ঘরে ঝাড়ু রাখলে ঘরে দারিদ্র্য নেমে আসে । পরিবারে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে ৷ ঝাড়ু রাখার আদর্শ জায়গা হল বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিক ৷ আপনি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকের মাঝেও ঝাড়ু রাখতে পারেন ৷ এতে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন বলে মনে করা হয় ৷ এতে টাকা আসে ও সংসারে উন্নতি হয় ৷
(বিঃ দ্রঃ- ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব । এই তথ্য জ্যোতিষীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে ৷ এর জন্য ইটিভি ভারত কোনওভাবে দায়ী নয় ৷ আপনার কোনও জিজ্ঞাসার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন)