ঢাকা, 5 অগস্ট: "দেশের সমস্ত ভার আমার ৷ আপনারা সহযোগিতা করুন ৷" বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের কথা জানিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ৷ তিনি জানান, দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ৷ পাশাপাশি, রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন ৷
সাংবাদিক বৈঠকে আন্দোলনরত ছাত্রদেরও বার্তা দিয়েছেন সেনাপ্রধান ৷ তিনি বলেন, "সব হত্যার অন্যায়ের বিচার হবে ৷ সেনা বাহিনী কোনও গুলি চালাবে না ৷ আমি আশা করছি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে ৷ এখন ছাত্রদের কাজ শান্ত থাকা ৷ আমাদের সাহায্য করা ৷" পাশাপাশি তিনি জানান, 24 থেকে 48 ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বতীকালীন সরকার তৈরি হবে ৷ দেশে শান্তি ফিরে এলেই মার্শাল ল বা কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে ৷
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ সেখানে হাসিনার দলের কোনও প্রতিনিধি অবশ্য ছিলেন না ৷ তবে জামাত থেকে শুরু করে বিএনপি, জাতীয় পার্টির পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন ৷ সেখানেও অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ বিভিন্ন নেতারা কী বলছেন তা রাষ্ট্রপতিকে জানাবেন সেনাপ্রধান ৷
সোমবার সকালে আচমকাই পতন ঘটে বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের ৷ অন্তর্বতী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত দেশের ভার চলে যায় সেনার হাতে ৷ পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা ৷ সূত্রের খবর, দুপুর 2.30 মিনিট নাগাদ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গিয়েছেন ৷ পাশাপাশি তাঁর বাসভবন গণভবনের দখল নিয়েছে জনতা ৷