নয়াদিল্লি, 9 এপ্রিল: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমনের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে উঠল কাশ্মীর প্রসঙ্গ ৷ অর্থাৎ কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ফের নাক গলাল তৃতীয় কোনও দেশ ৷ সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মন্তব্য করেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে চলা কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত ৷ এ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে সৌদি আরব এবং পাকিস্তান ৷
সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার পরে উভয়পক্ষ দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে আলোচনার গুরুত্বে জোর দিয়েছে ৷ বিশেষত, কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ৷ যাতে ওই অঞ্চলে শান্তি ও সহাবস্থান বজায় থাকে ৷" তবে, এটা প্রথমবার নয়, যেখানে পাকিস্তান কাশ্মীর সমস্যাকে বহির্বিশ্বের সামনে উত্থাপন করেছে ৷ পাকিস্তান ও সৌদি আরবের যৌথ বিবৃতির সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক বিবৃতির সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছে কূটনৈতিকমহল ৷
উল্লেখ্য, রাজনাথ সিং রবিবার সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন ৷ রাজনাথের সেই বক্তব্যকে অবশ্য অস্বীকার করেছে পাকিস্তান ৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে বলেন, "যদি জঙ্গিরা পাকিস্তানে পালিয়েও যায়, তাহলে আমরা সেই সন্ত্রাসবাদীদের ধাওয়া করব ও পাকিস্তানের মাটিতে তাদের শেষ করে দেব ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় সত্যি কথাটা বলে এসেছেন ৷ ভারতের সেই ক্ষমতা রয়েছে এবং পাকিস্তান সেটা বুঝতে শুরু করেছে ৷"
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছে, ভারত সরকার পাকিস্তানে ঢুকে গুপ্তহত্যার নির্দেশ দিয়েছে ৷ যা বিদেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারত সরকারের বৃহত্তম একটি পরিকল্পনা ৷ সেই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে রাজনাথ সিংকে প্রশ্ন করা হলে, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে নিশানা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ৷ তবে, ভারত যে সর্বদা শান্তি বজায় রেখে চলার পক্ষে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজনাথ ৷ তিনি বলেন, "আমাদের ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন ৷ আমরা কোনও দেশে আক্রমণ করিনি ৷ এমনকি কোনও দেশের এক ইঞ্চি জমিও দখল করে রাখিনি ৷ এটাই ভারতের চরিত্র ৷"
আরও পড়ুন: