ETV Bharat / international

জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার কাড়ার সিদ্ধান্ত 'অসাংবিধানিক', ট্রাম্পের নির্দেশে নিষেধাজ্ঞা - TRUMP BIRTHRIGHT CITIZENSHIP ORDER

জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের নয়া আদেশের পরেই বিশ্বে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে । প্রেসিডেন্টের এই আদেশের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করল আদালত ৷

birthright citizenship
ট্রাম্পের নির্দেশে আদালতের নিষেধাজ্ঞা (ফাইল চিত্র, এপি)
author img

By AP (Associated Press)

Published : Jan 24, 2025, 11:28 AM IST

Updated : Jan 24, 2025, 12:58 PM IST

সিয়াটেল, 24 জানুয়ারি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নিয়েই আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভের জন্য চরমসীমা বেঁধে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তের উপরে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করল আমেরিকার প্রাদেশিক আদালত ৷ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন আমেরিকার সিয়াটেল আদালতের বিচারক জন কফেনওয়ার ।

47তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পরেই ট্রাম্প আদেশ দিয়েছিলেন অভিবাসীদের ছেলেমেয়ারা আর জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না । ওভাল অফিসে বসে প্রথম দিনেই তিনি যে আদেশ পত্রগুলি সই করেছিলেন, তার মধ্য জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়টি ছিল অন্যতম ৷ আমেরিকায় এতদিন নিয়ম ছিল, বাবা অথবা মায়ের পরিচয় না-দেখেই আমেরিকায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তান জন্মগতভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব লাভ করে । কিন্তু দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে এই নিয়ম বদলাতে শপথ নিয়েই আদেশ পত্রে সই করেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের এই নির্দেশে ভারত-সহ অন্যান্য দেশ থেকে যাওয়া প্রবাসীরা সমস্যায় পড়েছেন । প্রেসিডেন্টের নয়া নির্দেশের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন প্রদেশের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ওয়াশিংটন, ওরেগন, ইলিনয় এবং অ্যারিজোনা প্রদেশ । ডেমোক্র্যাটশাসিত এই রাজ্যগুলির দাবি ছিল, এই সিদ্ধান্ত মার্কিন সংবিধানের 14তম সংশোধনী বিরোধী । কারণ এই সংশোধনীতে আমেরিকায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল ।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের উপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত । 6 ফেব্রুয়ারি ফের মামলাটি শুনানি । সেই সময়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না । ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিভিন্ন আদালতে পাঁচ থেকে ছ'টি মামলা হয়েছে ৷

ট্রাম্প 19 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন নতুন এই নিয়ম কার্যকরের জন্য ৷ ফলে তার আগেই সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য ভারতীয় প্রসূতিদের মধ্যে সিজারের হুড়োহুড়ি পড়ে যায় । এই আদেশে 19 ফেব্রুয়ারির পরে জন্মগ্রহণকারীর বাবা-মা অবৈধভাবে আমেরিকায় থাকলে, তাদের সন্তান জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাবে না ৷

ট্রাম্পের আদেশটি দেশজুড়ে তাৎক্ষণিক আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ৷ 22টি রাজ্য এবং বেশ কয়েকটি অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠী মিলিয়ে কমপক্ষে পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে ৷ ওয়াশিংটন, অ্যারিজোনা, ওরেগন এবং ইলিনয়ের একটি মামলা প্রথম শুনানি হয় ৷ ওয়াশিংটনের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লেন পোলোজোলা বিচারকের সামনে বলেন, "এই আদেশ অনুযায়ী, আমেরিকায় জন্মানো শিশুদেরও আর এদেশের নাগরিক হিসাবে গণ্য করা হবে না । ট্রাম্পের আদেশ সংবিধানের 14তম সংশোধনীর নাগরিকত্ব ধারাকে লঙ্ঘন করে । এই ধারায় বলা রয়েছে, যে কেউ আমেরিকায় জন্ম নিলেই সে এদেশের নাগরিক ।"

সিয়াটেল আদালতের বিচারক জন কফেনওয়ার বিচার বিভাগের একজন আইনজীবীকে বলেন, "আমি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বেঞ্চে আছি । আমার মনে নেই, এমন আর কোনও মামলা যেখানে এই প্রশ্নটি এত স্পষ্ট ছিল ৷ স্বাভাবিকভাবেই এটি স্পষ্টতই অসাংবিধানিক আদেশ ।"

1868 সালে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পর 14তম সংশোধনী গৃহীত হয়, যা মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিতর্কিত 1857 সালের ড্রেড স্কট সিদ্ধান্তকে বাতিল করে । সেই সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল, সংবিধানের সুরক্ষা দাসত্বপ্রাপ্ত কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য প্রযোজ্য নয় । কিন্তু বিচার বিভাগ দাবি করেছে, 14তম সংশোধনী কখনও দেশটিতে জন্মগ্রহণ করা সকলের জন্য নাগরিকত্বের অধিকার দেয় না ।

সিয়াটেল, 24 জানুয়ারি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নিয়েই আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভের জন্য চরমসীমা বেঁধে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তের উপরে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করল আমেরিকার প্রাদেশিক আদালত ৷ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন আমেরিকার সিয়াটেল আদালতের বিচারক জন কফেনওয়ার ।

47তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পরেই ট্রাম্প আদেশ দিয়েছিলেন অভিবাসীদের ছেলেমেয়ারা আর জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না । ওভাল অফিসে বসে প্রথম দিনেই তিনি যে আদেশ পত্রগুলি সই করেছিলেন, তার মধ্য জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়টি ছিল অন্যতম ৷ আমেরিকায় এতদিন নিয়ম ছিল, বাবা অথবা মায়ের পরিচয় না-দেখেই আমেরিকায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তান জন্মগতভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব লাভ করে । কিন্তু দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে এই নিয়ম বদলাতে শপথ নিয়েই আদেশ পত্রে সই করেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের এই নির্দেশে ভারত-সহ অন্যান্য দেশ থেকে যাওয়া প্রবাসীরা সমস্যায় পড়েছেন । প্রেসিডেন্টের নয়া নির্দেশের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন প্রদেশের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ওয়াশিংটন, ওরেগন, ইলিনয় এবং অ্যারিজোনা প্রদেশ । ডেমোক্র্যাটশাসিত এই রাজ্যগুলির দাবি ছিল, এই সিদ্ধান্ত মার্কিন সংবিধানের 14তম সংশোধনী বিরোধী । কারণ এই সংশোধনীতে আমেরিকায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল ।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের উপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত । 6 ফেব্রুয়ারি ফের মামলাটি শুনানি । সেই সময়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না । ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিভিন্ন আদালতে পাঁচ থেকে ছ'টি মামলা হয়েছে ৷

ট্রাম্প 19 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন নতুন এই নিয়ম কার্যকরের জন্য ৷ ফলে তার আগেই সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য ভারতীয় প্রসূতিদের মধ্যে সিজারের হুড়োহুড়ি পড়ে যায় । এই আদেশে 19 ফেব্রুয়ারির পরে জন্মগ্রহণকারীর বাবা-মা অবৈধভাবে আমেরিকায় থাকলে, তাদের সন্তান জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাবে না ৷

ট্রাম্পের আদেশটি দেশজুড়ে তাৎক্ষণিক আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ৷ 22টি রাজ্য এবং বেশ কয়েকটি অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠী মিলিয়ে কমপক্ষে পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে ৷ ওয়াশিংটন, অ্যারিজোনা, ওরেগন এবং ইলিনয়ের একটি মামলা প্রথম শুনানি হয় ৷ ওয়াশিংটনের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লেন পোলোজোলা বিচারকের সামনে বলেন, "এই আদেশ অনুযায়ী, আমেরিকায় জন্মানো শিশুদেরও আর এদেশের নাগরিক হিসাবে গণ্য করা হবে না । ট্রাম্পের আদেশ সংবিধানের 14তম সংশোধনীর নাগরিকত্ব ধারাকে লঙ্ঘন করে । এই ধারায় বলা রয়েছে, যে কেউ আমেরিকায় জন্ম নিলেই সে এদেশের নাগরিক ।"

সিয়াটেল আদালতের বিচারক জন কফেনওয়ার বিচার বিভাগের একজন আইনজীবীকে বলেন, "আমি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বেঞ্চে আছি । আমার মনে নেই, এমন আর কোনও মামলা যেখানে এই প্রশ্নটি এত স্পষ্ট ছিল ৷ স্বাভাবিকভাবেই এটি স্পষ্টতই অসাংবিধানিক আদেশ ।"

1868 সালে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পর 14তম সংশোধনী গৃহীত হয়, যা মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিতর্কিত 1857 সালের ড্রেড স্কট সিদ্ধান্তকে বাতিল করে । সেই সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল, সংবিধানের সুরক্ষা দাসত্বপ্রাপ্ত কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য প্রযোজ্য নয় । কিন্তু বিচার বিভাগ দাবি করেছে, 14তম সংশোধনী কখনও দেশটিতে জন্মগ্রহণ করা সকলের জন্য নাগরিকত্বের অধিকার দেয় না ।

Last Updated : Jan 24, 2025, 12:58 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.