কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: এ বছর দু'দিন জুড়ে সরস্বতী পুজো । তাই আনন্দে মেতে ওঠারও একজোড়া দিন । মিস করলেন না কেউই । ছোট থেকে বড়, শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে ছাত্রছাত্রী, এমনকি অভিনেতা থেকে প্রযোজক, পরিচালক কেউ বাদ গেলেন না । চলচ্চিত্র জগতের মানুষদের এই দিনে আনন্দে মেতে ওঠার আদর্শ স্থান হয়ে উঠেছে 'সিনেমা সরস্বতী'।
দেখতে দেখতে পাঁচ বছরে পা দিল 'সিনেমা সরস্বতী'। মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সিনেমার যাবতীয় কাজ থেকে ছুটি নিয়ে বেশিরভাগ সিনে প্রতিনিধিই এদিন 'সিনেমা সরস্বতী' পালনে মেতে ওঠেন । নিষ্ঠাভরে সরস্বতী পুজো সম্পন্ন করার পাশাপাশি দেদার খাওয়াদাওয়া এবং গান বাজনায় সামিল হন সকলে । সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়িয়ে সন্ধে অবধি চলে এই অনুষ্ঠান ।
সিনেমা সরস্বতী আর শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে বাংলা সিনেমার দুনিয়ায় । 'সিনেমা সরস্বতী' এমন একটা জায়গা যেখানে টলিপাড়ার প্রায় সকল প্রতিনিধিই হাজির হন সরস্বতী পুজোর দিনে । অন্যথা হয়নি এবারেও । তনুশ্রী চক্রবর্তী থেকে ঈশান মজুমদার, সোহম মজুমদার, রোহণ ভট্টাচার্য, শুভ্রজিৎ মিত্র, শিলাদিত্য মৌলিক, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, আর্য দাশগুপ্ত, সায়ক চক্রবর্তী, প্রসূণ গাইন - বাদ পড়েননি কেউই ।
প্রতি বছর, 'সিনেমা সরস্বতী' পরিচালকদের, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের, প্রযোজক, টেকনিশিয়ান এবং শিল্পীদের একত্রিত করে । সেখানে নতুন- পুরনো কিংবা কম সাফল্য বা বেশি সাফল্য রয়েছে এমন মানুষের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই ৷ সবাই এদিন মিলেমিশে যান । কেউ কারওকে অধিক সফল ভেবে দূরে দূরে থাকেন না । আবার অধিক সফল কেউই নতুনদের 'আনকোরা' ভেবে দূরে সরিয়ে দেন না । এই দিনটা সবার । গল্প, আড্ডা, সুস্বাদু ভোগের স্বাদ নেওয়া থেকে সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ - সিনেমা সরস্বতী প্রতি মুহূর্তে ছোটবেলার সরস্বতী পুজোর স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় ।
এ বছর, পাঁচে পা দেওয়ায় সাংস্কৃতিক আয়োজন ছিল আরও একটু অন্যরকম । অনুষ্ঠানে ছিল দারুণ সব চমক । নতুনরা এদিন তাঁদের পারফরম্যান্স, দেখানোর সুযোগ পান । তাঁদের জন্য একটি ওপেন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়, যেখানে তাঁরা তাঁদের প্রতিভা ইন্ডাস্ট্রির নামকরা পরিচালক এবং প্রযোজকদের সামনে উপস্থাপন করেন । নতুন এবং পুরনোদের সমানভাবে সম্মানিত করে 'সিনেমা সরস্বতী'।