মথুরা, 3 ফেব্রুয়ারি: বসন্ত পঞ্চমীর দিন থেকেই হোলি উৎসব শুরু মথুরার ব্রজে ৷ 40 দিন আগেই উৎসব শুরু ৷ সোমবার মন্দিরে বিভিন্ন রঙের পাত্র তৈরি করা হয় ৷ সেগুলিতে রঙ ভরে ভগবানের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয় ৷ ঠাকুর রং লাগানোর পর শুরু হোলি খেলা ৷ হোলির এখনও 40 দিন বাকি ৷ তার আগেই ভক্ত ভিড়ে হোলিতে মাতোয়ারা মথুরা ৷
দ্বাপর যুগ থেকে হোলির ঐতিহ্য চলে আসছে : রাধারানির জন্মস্থান বারসানায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে হোলি খেলা হয় । নন্দ গ্রামের গোপাল কৃষ্ণের ছদ্মবেশে বরসানায় পৌঁছেছিলেন । রাধারানিকে মন্দিরে গিয়ে হোলি খেলার আমন্ত্রণ জানানো হয় । মন্দির পরিষেবার অনুমতি পাওয়ার পরে, হোলির আমন্ত্রণ গ্রহণ করা হয় । এরপর ভক্তদের বোঁদের লাড্ডু বিতরণ করা হয় ৷ যাকে লাড্ডুমার হোলি বলা হয় । দ্বাপর যুগের এই ঐতিহ্য আজও তা অব্যাহত রয়েছে । বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষ্যে বাঁকে বিহারীকে হলুদ পোশাক পরানো হয় এবং পুরো মন্দির চত্বরটি রঙিন বেলুন দিয়ে সাজানো হয় ।
লাঠমার হোলির পৌরাণিক বিশ্বাস : কথিত আছে যে, ভগবান কৃষ্ণ যখন হোলি খেলতে প্রথম বরসানায় পৌঁছেছিলেন, তখন শত শত গোপী দেখে ভয় পেয়ে তিনি একটি মন্দিরে লুকিয়েছিলেন । কানহার সন্ধানে রাধা মন্দিরে পৌঁছলে কানহাকে লুকিয়ে বসে থাকতে দেখেন । রাধা তখন কানহাকে বলেন, আগে তুমি ব্রজ বর হও তারপর সমস্ত গোপী তোমার সঙ্গে লাঠমার হোলি খেলবে । তখনই কানহার নাম ব্রজ দুলহা নামে প্রসিদ্ধ হয় । এই ঐতিহ্য বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে । ব্রজ বরের অনুমতি পাওয়ার পর বরসানায় শুরু হয় লাঠমার হোলি ।
![Holi Utsav 2025 in Mathura](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/03-02-2025/23464589_wb_mathura.jpg)
এ বছর মন্দিরে হোলি খেলার দিন : 2 ফেব্রুয়ারি মথুরার বরসানার রাধারানি মন্দিরে, 3 ফেব্রুয়ারি (বসন্ত পঞ্চমী) বৃন্দাবন বাঁকে বিহারী মন্দিরে, 28 ফেব্রুয়ারি রাধারানি মন্দিরে হোলির প্রথম চৌপাই, 7 মার্চ বরসানা লাড্ডু মার হোলি, 8 মার্চ লাঠামার বারসানায় হোলি, 9 মার্চ নন্দ গ্রামে লাঠমার হোলি, 10 মার্চ রংভর্নি হোলি, বাঁকে বিহারী মন্দির এবং শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দিরে হোলি, 11 মার্চ মথুরা দ্বারকাধীশ মন্দিরে হোলি, 11 মার্চ গোকুল রমনরেতি আশ্রমের হোলি, 12 মার্চ বৃন্দাবন বাঁকে বিহারী মন্দিরে হোলি, 12 মার্চ চতুর্বেদী সমাজের প্রাচীন দোল, 13 মার্চ সারাদেশে রঙের হোলি, 15 মার্চ বলদেবের হুরাঙ্গা, 22 মার্চ বৃন্দাবনে হোলি ।
এই বিষয়ে জেলা পর্যটন আধিকারিক ইয়াদারাম জানান, প্রতি বছর 9 কোটিরও বেশি পর্যটক এখানে মন্দির দেখতে আসেন । হোলিতে 10 থেকে 12 লক্ষ ভক্ত এবং 20 হাজারেরও বেশি বিদেশি পর্যটক হোলি দেখতে ও খেলতে আসেন ।